উপলক্ষ্যটা এমনিতেই ছিল বিশেষ কিছু। সেটি আরও রঙিন হয়ে উঠল দলের উড়ন্ত জয়ে। ফুটবল ইতিহাসের সেরা কোচদের একজন, মাঝারি মানের ক্লাব থেকে ম্যানচেস্টার সিটিকে শীর্ষ ক্লাবে রূপ দেওয়ার কারিগর পেপ গার্দিওলার কোচ হিসেবে ১ হাজারতম ম্যাচ। লিভারপুলকে উড়িয়ে এই মাইলফলক উদযাপন করার চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী আছে! গুয়ার্দিওলা নিজেও উচ্ছ্বসিত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটিতে শনিবার লিভারপুলকে ৩-০ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার সিটি।
সিটির হয়ে গত ৯ বছরে রেকর্ডময় পথচলায় গার্দিওলাকে সবচেয়ে বেশি বেগ দিয়েছে লিভারপুলই। লিগ শিরোপায় তারা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে বারবার। মুখোমুখি লড়াইয়ে তো লিভারপুলই এগিয়ে। এই ম্যাচের আগে ২৪ বারের দেখায় গুয়ার্দিওলার সিটির জয় ছিল ৭টি, লিভারপুলের ১০টি।
হাজারতম ম্যাচে সেই দলকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ম্যাচে রোমাঞ্চের কথা গার্দিওলা বলেছিলেন ম্যাচের আগে। মাইলফলকের ম্যাচে তিনি চেয়েছিলেন সম্ভাব্য সেরা প্রতিপক্ষকেই। সেই ম্যাচে দারুণ জয়ের পর গার্দিওলার খুশি যেন ছুঁতে চাইছিল আকাশ।
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমরা বহুবার খেলেছি এখানের, তাদের বিপক্ষে আমাকে অবিশ্বাস্য এক উপহার দেওয়ার জন্য ফুটবলার ও স্টাফদেরকে ধন্যবাদ। তাদের বিপক্ষে খেলা সবসময়ই দারুণ এবং এত লড়ায়ের পর ভার্জিল (ফন ডাইক), (অ্যান্ডি) রবার্টসন, মো সালাহকে দেখতে পাওয়াটা চমৎকার। আমার বাচ্চারা ছিল এখানে। স্পেশাল এক রাত ছিল এটি।”
সালাহ, ফন ডাইকরা এ দিন গার্দিওলার কাছে গিয়ে অভিনন্দন জানান তাকে।
আগের দিন সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে পয়েন্ট হারায় শীর্ষে থাকা আর্সেনাল। এরপর লিভারপুলের সঙ্গে জিতে ব্যবধান কমায় ম্যানচেস্টার সিটি। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট এখন মিকেল আর্তেতার দলের, ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গার্দিওলার দল।
এই জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের তুলে আনার বার্তা দিতে পেরেছেন বলেই মনে করেন সিটির কোচ।
“আমার মনে হয়, আমরা ও লিভারপুল বলছিলাম যে, ‘ওহ, অবশেষে আর্সেনাল পয়েন্ট হারাল এবং দুটি গোল হজম করল।’ তবে দিনশেষে নিজেদের কাজটা করতে হয়। আমি ছেলেদেরকে বলেছিলাম, ‘আর্সেনাল পয়েন্ট হারিয়েছে বলে নয়, নিজেদের জন্যই করতে হবে, কারণ আমরা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখি যে, ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে আমরা খেলতে পারি এবং তাদেরকে দেখাতে চাই যে, এই মৌসুমে আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করছি।’ আজকে আমরা তা প্রমাণ করেছি, আমরা পেরেছি।”
এখনই অবশ্য শিরোপা জয়ের ছবি আঁকছেন না পেপ গার্দিওলা। তবে ট্রফির লড়াইয়ে ফেরার তৃপ্তি তিনি পাচ্ছেন।
“অক্টোবর-নভেম্বরে কেউ প্রিমিয়ার লিগ জেতে না। প্রতি মাসেই যখন কোনো দল সমৃদ্ধ হতে থাকে, সেই দলই প্রিমিয়ার লিগ জেতে এবং এই দল ক্রমেই ভালো থেকে ভালো হয়ে উঠছে। শিরোপার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত থাকতে হয়। এখন মনে হচ্ছে, আমরা সেই পথে আছি।”
এমআর/টিকে