চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক রাতের বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে পাগলা নদীর মুখে নলবোনা খালে নির্মিত ৩২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সেতুটি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিবগঞ্জের তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ভেঙে পড়েছে সেতুটি। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পুনর্নির্মাণের আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার।
সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নলবোনা খালের ওপর নির্মাণ করা হয় সেতু, যা দিয়ে শ্যামপুর, বিনোদপুর ও শাহবাজপুর ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করতো। কিন্তু গত পহেলা নভেম্বর হঠাৎ এক রাতের বৃষ্টিতেই ধসে পড়ে সেতুটি। এতে আশপাশের এলাকার মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
সেতু ভেঙে পড়ায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না কোনো যানবাহন। বিকল্প পথ ব্যবহার করার কারণে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কৃষিপণ্য পরিবহন করতেও বেকায়দায় পড়েছেন চাষিরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও অনিয়ম হওয়ায় সেতু নির্মাণের কয়েক বছর পরই ভেঙে পড়েছে। চার ইউনিয়নের মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতো। এখন সবাই ভোগান্তিতে পড়েছি।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় মানুষের জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। তারা চলাচল করতে পারছেন না।’
তবে অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, স্ট্রাকচার ঠিক আছে; তবে মাটি ধসে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।
পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজাহার আলী বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মাটি ভরাট করে আপাতত সেতুটি যানবাহন ও জনগণের চলাচলের উপযোগী করার ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি কারিগরি প্রতিবেদন পেলে সেতুটি মেরামত যোগ্য কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাই।
তারপর সেতুটি মেরামত করতে যাই। যদি সেতুটি মেরামত যোগ্য না হয়, তাহলে আমাদের নতুন সেতুর প্রয়োজন হতে পারে।’
উল্লেখ্য, সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
পিএ/এসএন