হঠাৎ করেই হৃদরোগজনিত (কার্ডিয়াক) জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান তারকা অস্কার ডস সান্তোসকে। আগে থেকেই তিনি পেশির চোট পুনর্বাসনে ছিলেন। এরই মাঝে মঙ্গলবার সাও পাওলো ক্লাবের বাররা ফুন্ডা ট্রেনিং সেন্টারে এক্সারসাইজ বাইকে ফিটনেস পরীক্ষার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩৪ বছর বয়সী অস্কার। তার অবস্থা তুলনামূলক স্থিতিশীল হলেও বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
অস্কার প্রতিভা ও সামর্থ্যের পুরোটা কাজে লাগাতে পারেননি বলে কথিত আছে। বিশেষ করে হুট করেই চাইনিজ ফুটবলে যোগ দিয়ে চলে যান ফুটবলবিশ্বের অন্তরালে। সেখানে ৮ বছরের অধ্যায় শেষে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে স্বদেশি ক্লাব সাও পাওলোতে যোগ দেন চেলসির সাবেক এই তারকা।
অসুস্থ হওয়ার পর অস্কারকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে করে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি চিকিৎসার পর তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। চিকিৎসকদের বরাতে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, বর্তমানে ভালো এবং স্থিতিশীল আছেন অস্কার। হৃদরোগজনিত কারণে তার সুপার সিটি ছাড়াও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে কার্ডিওলজিক্যাল ইউনিটের পর্যবেক্ষণ, মেডিক্যাল ফলো-আপ এবং তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত ফিটনেস টেস্টের সময় ঠিক কী কারণে অস্কারের হৃদযন্ত্রে সমস্যা হয়েছে তা শনাক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও তার হার্ট রেট নিরীক্ষায় চোখ রাখা হচ্ছে হোল্টার মনিটরে। যদিও শুরুতে এমন প্রক্রিয়ায় যেতে রাজি ছিলেন না অস্কার। তার মতে, সব তো ঠিকঠাকই আছে। তবে হঠাৎ অসুস্থ হওয়ার পর আতঙ্কে খেলা ছেড়ে (অবসর) দেওয়ার ভাবনাও মাথায় আসে তার। রোগ পুরোপুরি শনাক্ত হলেই জানা যাবে আবারও অস্কার ফুটবল মাঠে ফিরবেন কি না!
এদিকে, ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক স্টোরিতে উদ্বিগ্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন অস্কার, ‘আপনাদের মেসেজ এবং প্রার্থনার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা, সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সব ঠিক হয়ে যাবে।’ একইভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থনা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন অস্কারের মা ও বোন। এর আগে ২০১২-১৭ সালে ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে খেলেছিলেন ব্রাজিলের এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তাদের পক্ষ থেকেও বার্তা পেয়েছেন অস্কার, ‘আমাদের সাবেক খেলোয়াড় অস্কারের জন্য ভাবচেন চেলসির প্রত্যেকেই। কঠিন এই সময়ে আমরা তার পরিবারের পাশে আছি।’
সম্ভাবনা নিয়ে ব্রাজিল জাতীয় দলে এলেও ২০১৫ সালের পর অস্কারকে আর সর্বোচ্চবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হলুদ জার্সিতে দেখা যায়নি। ব্রাজিলের হয়ে ৪৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১২ গোল করেছেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। স্বদেশি ক্লাবে ফেরার পর গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৫২ সদস্যের প্রাথমিক দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল অস্কারকে। যদিও ২৩ জনের চূড়ান্ত দলে তিনি জায়গা পাননি। জুলাইতে কোমরের হাড়ে ফাটলসহ জটিল চোটে পড়েন অস্কার, যে কারণে পুরো মৌসুমে তিনি সাও পাওলোর হয়ে মাত্র ২১ ম্যাচ খেলতে পেরেছেন।
ইএ/এসএন