মুম্বইয়ের ক্লাবে নিয়মভঙ্গ করে ধর্মান্তর করছেন! বছরখানেক আগে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল জেমাইমা রডরিগেজের বাবার বিরুদ্ধে। সেসময়ে মুম্বইয়ের ঐতিহ্যবাহী খার জিমখানা ক্লাব থেকে জেমির সদস্যপদ বাতিল হয়। একবছর পরে সেই যন্ত্রণার অধ্যায় নিয়ে সরব হলেন সদ্য বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার। সাফ জানালেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনও কাজ করেনি তাঁর পরিবার। তা সত্ত্বেও অপমানিত হতে হয়েছে গোটা রডরিগেজ পরিবারকে।
গত বছর অক্টোবর মাসে খার জিমখানা ক্লাবের এক সদস্য একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমরা জানতে পেরেছি জেমাইমার বাবা একটি ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তারা ক্লাবের হল ভাড়া নিয়ে গত দেড় বছরে ৩৫টি অনুষ্ঠান করেছে। আমরা সবাই জানি, সেখানে কী হয়। সারা দেশেই এরকম ঘটনা শুনতে পাই, কিন্তু সেটা আমাদের চোখের সামনেই ঘটছিল।” কয়েকজন সদস্য অভিযোগ আনেন, জেমির বাবা ইভান ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতেন। এই অনুষ্ঠানগুলো করা হত ধর্মান্তকরণের জন্য। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী খার জিমখানা জেমাইমাকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে দেয়।
দীর্ঘ এক বছর কেটে গেলেও বিতর্কিত অধ্যায় নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি জেমাইমা। তবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ১২৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন জেমি। তারপর থেকেই চর্চায় উঠে এসেছে জিমখানার ঘটনা। একটি সাক্ষাৎকারে জেমি বলেন, “আমার বাবা-মা’কে এমন ঘটনায় টেনে আনা হয়েছিল যেটা আমরা করিনি। সেটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। আমরা যা করেছি, সেটা নিয়ম মেনে করেছি, প্রমাণও রয়েছে তার। কিন্তু যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।”
জেমি জানান, টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরেই এইভাবে তাঁর পরিবারের দিকে অভিযোগ ধেয়ে এসেছিল। খবরের কাগজ, মেসেজ, আমজনতার টিটকিরি-সবই সহ্য করেছেন। সাক্ষাৎকারে জেমাইমা বলেন, “আমার পরিবার, গির্জা-সবকিছু নিয়েই খুব খারাপ কথা শুনেছি। একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। আমার ভাই ফোন করলে কাঁদতাম। কী করব জানতাম না।” তবে গত বছরই জেমির বাবা জানিয়েছিলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কোনও কাজ করেননি, ধর্মান্তকরণ তো নয়ই। এবার সেই যন্ত্রণার অতীত নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার।
এবি/টিকে