হাসিনা আগেই টাকার বস্তা নিয়ে আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আগে হাসিনা বলেছে পালায় না, পরে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে যায়নি। হাসিনা শুধু তার আত্মীয়-স্বজনকে আগেই পার করে দিয়েছে। হাসিনা আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছে।

তাদেরকে টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা আগেই ভাগিয়ে দিয়েছে, ‘যে তোরা আগে বাঁচ, আঁইতো আঁর মতো করে পালাইয়ুম’। আওয়ামী লীগের অনেকেই পালাতে পারেনি, অনেকে জেলে গেছে। তার এখনও দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্র করছে।

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের গৌরিনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নারী ভোটারদের নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘একটা বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হবে কেন। ভালো কাজ করে নাই। দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও দুঃশাসন করছে। ওই যে মুজিব বাহিনী, লাল বাহিনী, রক্ষী বাহিনীর স্টাইলে কাজগুলো করে মানুষকে শান্তি দেয়নি।

মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মানুষের ওপর হামলা করেছে, মানুষকে গুম-খুন করেছে। লুটপাট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। যার কারণে হাসিনা গণশত্রু, গ্রামের শত্রু এবং দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‘হাসিনার বিচার শুরু হওয়ায় একটা লকডাউন দিছে।

১৭ নভেম্বর বিচারের রায় দেবে। লকডাউন দিছে, কিন্তু তাদের কর্মসূচিতে পাবলিক নেই। পাবলিক তো তার পক্ষে নেই, পাবলিক লকডাউন করতে নামেওনি। আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) দিয়ে দেখাচ্ছে যে তার লকডাউনে মিছিল হচ্ছে। আসলে এটি এআই ছিল, এটা প্রকৃত না, বাস্তব না, এটা ভুয়া। তবে কিছু চোরাগোপ্তা হামলা করছে, এটা সত্য। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, আর না হলে পেট্রোল বোম মারছে।

এক সময় হাসিনা বলেছিল, যারা গাড়িতে বাসে আগুন দিবে, তাদেরকে ধরে ধরে ওই আগুনে ফেলে দেবে। এখন কি করা দরকার- উত্তরে নারীর বলে উঠেছেন- ‘তাকে (হাসিনা) এনে আগুনে ফেলে দিতে’। এসব হাসিনার অপকর্ম। এই হল বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এগুলো থাকবে। যুদ্ধ মোকাবেলা করতে করতে বাংলাদেশ চলছে।’’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফে সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আবুল হাশেম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ম্যাচসেরা হয়েও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না জয় Nov 14, 2025
img
নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ কনসার্ট, ভেন্যু বদলের চিন্তায় আয়োজক Nov 14, 2025
img
আমরা অনেকেই শিক্ষিত হই, কিন্তু সুশিক্ষিত হই না: সেনাপ্রধান Nov 14, 2025
img
আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসনে এনসিপির মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন মাসুম বিল্লাহ Nov 14, 2025
img

যুক্তরাজ্যের উন্নয়নমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত প্রধান উপদেষ্টার Nov 14, 2025
img
শ্রেয়ার কনসার্টে অপ্রীতিকর ঘটনায় অজ্ঞান ২ শ্রোতা Nov 14, 2025
img
আবার বিয়ে করতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি স্ট্রস Nov 14, 2025
img
কিছু দল ভোটে হারার ভয়ে সরকারের ওপর নাখোশ: খোকন Nov 14, 2025
img
আইপিএল নিলামের আগে ট্রেডে দল পাল্টালেন ৬ তারকা ক্রিকেটার Nov 14, 2025
img
আগে গণভোট পরে জাতীয় নির্বাচন, না হয় নির্বাচন হবে না: এ টি এম মাসুম Nov 14, 2025
img
ভোলার ভেদুরিয়া সার কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা Nov 14, 2025
img
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির মেয়াদ বাড়ছে আরও ৫ বছর Nov 14, 2025
img
ম্যাচটা অবশ্যই জেতা উচিত ছিল: হামজা চৌধুরী Nov 14, 2025
img
গাজীপুরে বিএনপিতে যোগ দিলেন ৮ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক সদস্য Nov 14, 2025
img
পুলিশ হেফাজতে ২ চীনা নাগরিক Nov 14, 2025
img
ক্রিকেটপাড়ায় তোলপাড় : স্মৃতি মান্ধানার ‘বিয়ের কার্ড’ ভাইরাল Nov 14, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের মাধ্যমে সংকট কেটে গেছে : নুরুল হক নুর Nov 14, 2025
img
যুবসমাজ মাতাতে গ্লোবট্রটর মঞ্চে আশিষ Nov 14, 2025
img
ফের জল্পনায় বলিউড ও আইপিএলের অনিরুদ্ধ-কাব্য জুটি! Nov 14, 2025
img
রাজধানীজুড়ে বাড়তি সতর্কতা, মাঠে ১২ প্লাটুন বিজিবি Nov 14, 2025