বিবিসি বাংলা

আলোচনায় ‘রাতের ডিসি’, কোন যোগ্যতায় নিয়োগ পাচ্ছেন!

বাংলাদেশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার ৫০টিরও বেশি জেলায় জেলা প্রশাসক পদে পরিবর্তন এনেছে। আবার বদলি না হলে এই ডিসিদেরই আসন্ন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনের কথা রয়েছে। ফলে জেলা প্রশাসক বা ডিসি পদে নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের অভ্যন্তরে দুই রাজনৈতিক বলয়ের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। 

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আগেই জানিয়েছিল যে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তিনটি নির্বাচনে যারা ন্যূনতম সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হবে না।

জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা ধারণা দিয়েছেন, কর্মকর্তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সরকারের এ নীতিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক আছে-এমন কোনো কর্মকর্তা যেন দায়িত্ব না পান সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে।

ফলে নির্বাচনি দায়িত্ব পালনে প্রশাসন ক্যাডারের পরিবর্তে প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত করানো বিলুপ্ত অর্থনীতি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখন বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
তাদের অনেকেরই মাঠ প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকার সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও মাঠ প্রশাসনের অভিজ্ঞতা ছাড়া কাউকে জেলা প্রশাসক বা ডিসি করলে সেটি ভালো নির্বাচনে সহায়ক হবে না। সরকার যে ধরনের নির্বাচন চাইবে, ডিসি-ইউএনও যাকেই করা হোক তিনি সেই ধরনের নির্বাচনই উপহার দেবেন। রাজনীতিকরা ভালো নির্বাচন না চাইলে কেউই তা করতে পারে না।

ঢালাওভাবে সবাইকে দোষারোপ না করে সরকারের উচিত চৌকস, কৌশলী ও দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা।
?
প্রসঙ্গত, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে বাকি দলগুলোকে নিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৯ নভেম্বর রাতে ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করলে সামাজিক মাধ্যমে ‘রাতের ডিসি’ আলোচনা সামনে উঠে আসে। কারণ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গভীর রাতে জারি করা হয়েছে।

এর আগের দিন শনিবার আরও ১৫টি জেলায় ডিসি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।

এর পর বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরও ২৩টি জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগের কথা জানায় সরকার। এর মধ্যে কয়েকটি জেলায় ডিসিদের পরিবর্তন করা হয়, আর বাকিগুলোতে নতুন কর্মকর্তারাই ডিসি নিয়োগ পান।

এসব প্রজ্ঞাপন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অর্থনীতি ক্যাডার থেকে প্রশাসন ক্যাডারে যুক্ত হওয়া বেশ কিছু কর্মকর্তা ডিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যাদের মাঠ প্রশাসনে ও নির্বাচনি কাজের যুক্ত থাকার পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই।

জেলা প্রশাসনে কাজ করেছেন এমন কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাধারণত জেলা প্রশাসকরা কালেকটর হিসেবে ভূমি রাজস্ব আদায় এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার কাজ করেন। সরকারের মালিকানাধীন সব ভূমি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের।

ফলে ডিসি বা জেলা প্রশাসকদের জন্য মাঠ পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকা জরুরি বলে মনে করা হয়।

প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা মূলত কর্মজীবনের শুরুতেই ম্যাজিস্ট্রেট ও এসি ল্যান্ড (সহকারী কমিশনার ভূমি) হিসেবে কাজ করার করার মধ্য দিয়ে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করেন।

এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করার মধ্য দিয়ে এসব বিষয়ে তারা আরও দক্ষ হয়ে ওঠেন।
পদায়ন সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, একজন কর্মকর্তার জেলা প্রশাসক হওয়ার জন্য মাঠ প্রশাসনে অন্তত দুই বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, যা এবারে নিয়োগ পাওয়া বেশ কিছু কর্মকর্তার নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফিরোজ মিয়া বলেন, মাঠ প্রশাসনে অভিজ্ঞতা নেই এবং নির্বাচনের কাজে কখনো সংশ্লিষ্ট ছিল না এমন কাউকে জেলা প্রশাসক নিয়োগ করা হলে তিনি নির্বাচনে খুব একটা ভালো অবদান রাখতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি। বরং তার দ্বারা সমস্যা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নির্বাচনে অনেক ধরনের ‘খেলোয়াড়’ থাকে। নির্বাচনের খেলা ও খেলোয়াড়দের ট্যাকেল করার দক্ষতা মাঠ প্রশাসন বা নির্বাচনি কাজের অভিজ্ঞতা না থাকলে তৈরি হয় না।

আবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পদাধিকারবলে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন। ফলে সেখানে নির্বাচনি কাজ করা কিংবা না করা নিয়ে তার নিজের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার থাকে না।

আবার আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে যেসব ডিসিরা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন, তারা সেই পদেই আর নেই। তাদের অনেকের পদোন্নতি হয়েছে কিংবা বেশ কিছু কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরও দেওয়া হয়েছে।

আবার অনেককে ওএসডি বা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করেছে সরকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন ৪৫ জনকে চলতি বছরের শুরুতে ওএসডি করেছিল সরকার।

এছাড়া বিগত তিনটি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সাবেক জেলা প্রশাসকদের মধ্যে যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর হয়েছে, এমন ২২ জনকে তখন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে আগেই। আর ২৫ বছর পূর্ণ না হওয়ায় ৪৩ জনকে ওএসডি করা হয়েছিল।

অন্যদিকে যারা তখন যেসব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন, তখন তাদের পদাধিকার বলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করতে হয়েছে।

ফিরোজ মিয়া বলেন, আসলে জাতীয় নির্বাচনে ইউএনওদের কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে না। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকে ডিসি, প্রিসাইডিং, পোলিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তাদের। ফলে যারা ইউএনও ছিলেন তাদের সবাইকে ঢালাওভাবে নির্বাচনের অযোগ্য বলা অন্যায়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারের ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে সাবেক অর্থনীতি ক্যাডারের পাশাপাশি ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ ব্যাচের বিসিএস কর্মকর্তারা গুরুত্ব পাচ্ছেন।

এর মধ্যে ২৫তম বিসিএস বিএনপির সময়ে, ২৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা বিএনপির সময়ে হলেও মৌখিক পরীক্ষা আর নিয়োগ হয়েছিলো ফখরুদ্দিন আহমেদের কেয়ারটেকার সরকার আমলে।

২৮তম বিসিএস এর সব পরীক্ষা হয়েছিল কেয়ারটেকার সরকার আমলে, আর কর্মকর্তাদের নিয়োগ হয়েছিল ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ আমলে। আর ২৯ ব্যাচের পুরো পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়াই হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রথম আমলে। কিন্তু এসব বিসিএসে যারা গত তিন নির্বাচনে কাজ করেছেন তাদের বাদ রাখার সিদ্ধান্তের পর অন্যদের নিয়ে দুই ‘রাজনৈতিক গোষ্ঠী’র মধ্যে লড়াইয়ে কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। চাকরিরত থাকায় তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

সরকারের দুজন উপদেষ্টার একান্ত সচিবকে জেলা প্রশাসক করা নিয়ে যেমন আলোচনা হচ্ছে, তেমনি কয়েকটি জেলার ডিসিকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অভিযোগ উঠেছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি জেলার ডিসিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদিও তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে পরিচিতি আছে।

কর্মকর্তা বাছাইয়ের ক্রাইটেরিয়া কী

বর্তমান নির্বাচন কমিশন চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’য় সংশোধনী এনে সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কর্তৃত্ব থেকে ডিসি -এসপিদের বাদ দিয়েছে।

গত মাসের শেষ দিকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত তিন নির্বাচনে ‘ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা’ ছিল এমন কেউ আগামী নির্বাচনে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তখন বলেন, নির্বাচনে কর্মকর্তা পদায়নের মানদণ্ড ও কীভাবে পদায়ন হবে- সে বিষয়ে কিছু বিষয় দেখা হবে।

এর মধ্যে আছে-ওই কর্মকর্তা শারীরিকভাবে কতটা ফিট, এসিআর বা বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন কেমন, পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড বা রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে কিনা, কর্মদক্ষতা কেমন, আগে পোস্টিং কেমন ছিল এবং পত্রিকায় তার বিষয়ে কোনো রিপোর্ট আসছে কি না।

তিনি বলেন, উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে যে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে তা হলো- মাঠ প্রশাসনে গত তিন নির্বাচনে ডিসি, এডিসি, ইউএনও ও যারা ডিসট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন বা যারা ম্যাজিস্ট্রেট রোলে ছিলেন তাদের যাতে কোনো পদায়ন না হয়।

‘রিটার্নিং অফিসার, পোলিং বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হোন, কোনোভাবেই গত তিন নির্বাচনে এদের যদি ন্যূনতম ভূমিকা থাকে, তা হলে তারা যেন না হয়,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন তিনি।

এছাড়া কোনো কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য কিংবা নিকটাত্মীয় কেউ নির্বাচন করলে তাকেও নির্বাচনি প্রক্রিয়ার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে হওয়া বৈঠকে।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুয়ার অভিযোগে ১০২ ফুটবলারকে অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করল তুরস্ক Nov 15, 2025
img
অদ্ভুত নিয়মে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ সম্প্রচার হবে উত্তর কোরিয়ায়, ৬০ মিনিটেই ম্যাচ শেষ! Nov 15, 2025
img
ইউরোপে পোশাক রপ্তানি, ৯ মাসে এলো সোয়া ১৫ বিলিয়ন ডলার Nov 15, 2025
img
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি পরিষদ নয়, সব দলের সমর্থনেই গড়া: তথ্য উপদেষ্টা Nov 15, 2025
img
ব্যবসায়ীদের জন্য সব কিছু করতে বিএনপি প্রস্তুত : আমীর খসরু Nov 15, 2025
img
প্রথমবারের মতো সরকারের ঋণ ছাড়ালো ২১ লাখ কোটি Nov 15, 2025
img
জাবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ Nov 15, 2025
img
দুই ছবি থেকে বাদ, তবু নিজের সিদ্ধান্তে অটল দীপিকা! Nov 15, 2025
img
গণভোটের রায় যারা মানবে না, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে : আখতার Nov 15, 2025
img
বিএনপিকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগ প্রয়োজনে পাকিস্তান-জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলাবে : দুলু Nov 15, 2025
img
সিকোয়েন্স গাউনে নজর কাড়লেন তামান্না ভাটিয়া Nov 15, 2025
img
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে সতর্ক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 15, 2025
img

মোস্তফা ফিরোজ

জামায়াত ও এনসিপি কি বেকায়দায় পড়ল? Nov 15, 2025
img
বরিশালে হাফ ভাড়া নিয়ে শ্রমিক-শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অন্তত ২০ Nov 15, 2025
img
বিশ্ববাজারে ফের কমল স্বর্ণের দাম Nov 15, 2025
img
মসজিদে যাওয়া নিয়ে উত্তেজিত সোনাক্ষী, মন্তব্য জহিরের Nov 15, 2025
img

বিবিসি বাংলা

আলোচনায় ‘রাতের ডিসি’, কোন যোগ্যতায় নিয়োগ পাচ্ছেন! Nov 15, 2025
img
বরিশালে বাসভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে শ্রমিক-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, ভাঙচুর অন্তত ১০টি বাস Nov 15, 2025
img
পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া অধিকার, ভারতের কোনো দয়া নয় : মির্জা ফখরুল Nov 15, 2025
img
শেষ মুহূর্তের গোল আটকাতে ফোকাস ও কৌশল বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ Nov 15, 2025