ওপার বাংলার অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা-ছেলের সম্পর্কের এক জটিল দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী।
জানতে চেয়েছেন, কন্যাসন্তানের ক্ষেত্রে সম্পর্ক সহজ হলেও, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর কেন পুত্রসন্তানের সঙ্গে বাবার সম্পর্কে এক অদ্ভুত নীরবতা এবং অভিমানের স্রোত তৈরি হয়।
সোহিনী জানান, তার দেখা বহু ছেলে বন্ধুর ক্ষেত্রেই বাবার সঙ্গে সম্পর্ক খুব বেশি খোলামেলা নয়। কোনো ঝামেলা বা বিরোধ না থাকলেও দুজনের মধ্যে এক ধরনের নীরবতা থাকে। বাবার কথায় ছেলের অস্বস্তি হলেও সে তা সরাসরি বলতে পারে না; ফলে সম্পর্ক ধীরে ধীরে দূরত্বের দিকে যায়।
নিজের ছেলেবন্ধুদের পরিবারের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সোহিনী বলেন, ‘আমার বেশিরভাগ ছেলেবন্ধুদের ক্ষেত্রে দেখেছি, তাদের বাবার সঙ্গে খুব একটা বনিবনা নেই, যতটা মায়ের সঙ্গে বনিবনা। বাবার সঙ্গে অদ্ভূত এক কী একটা ক্ল্যাশ করে।
একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বাবার সঙ্গে সেই বন্ধুত্বটা আর তৈরি হয় না। বাবাও নিজের মতো গুমরে থাকে। ছেলেকে কিছু একটা বলে দিল, সেটা হয়তো ছেলের পছন্দ হল না। পছন্দ যে হল না সেটাও ছেলে বাবাকে বলতে পারে না।’
সোহিনীর মতে, এই পরিবর্তনের কারণ স্পষ্ট নয়। তবে বড় হয়ে ছেলে যখন বাবার ভূমিকায় আসে, তখন শৈশবে দেখা বাবার আচরণ বা প্রত্যাশা হয়তো অজান্তেই প্রভাব ফেলে সম্পর্কের ওপর।
আইকে/টিএ