তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি ফাঁস হয়ে গেছে : মো. তারেক রহমান

মনের অজান্তে সবাই ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে এবং বিচারের নামে তামাশা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। তিনি দাবি করেন, তাজুল ইসলাম, শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটাই ফাঁস হয়ে গেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায় ঘোষণার আগে তিনি একজন নিরপেক্ষ চীফ প্রসিকিউটর নিয়োগের দাবি জানান।

আজ রবিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন মো. তারেক রহমান।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আমাদের দেশটাকে আমাদের ভালোবাসতে হবে, সেটা আমাদের মত করে নয়। সবার মত করে। ক্ষমতার এই দাপট থাকবে না, হুংকার নরম হয়ে আসবে। একটি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন ছাড়া পরবর্তী সরকার কোনোভাবেই শক্তিশালী হবে না।

মো. তারেক রহমান বলেন, মনের অজান্তে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে সবাই, বিচারের নামে তামাশা চলছে। এককালের মানবতাবিরোধী আসামীর পক্ষ নেওয়া আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাহেব আজ নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কারো বিচার করছে, এর চেয়ে হাস্যকর কি হতে পারে। বিষয়টা বিচারকে ৭১ এর মানবতাবিরোধীদের বিচারের প্রতিশোধের মত লাগছে। রায় ঘোষণার আগে একজন নিরপেক্ষ ব্যাক্তিকে চীফ প্রসিকিউটর করার দাবি জানাচ্ছি। এটা বিচারকে অধিক গ্রহণযোগ্য করবে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মো. তারেক রহমান বলেন, 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে মামলায় একটাই প্রশ্ন আমার, এই বিরাট হত্যাকাণ্ড কি একেবারেই মিথ্যা?'

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ীদের কাছে তিনি জিজ্ঞাসা রেখে বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে মামলাগুলো দিয়ে নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে, তার ৯০% কি মিথ্যা নয়। বলবেন ঘটনা সত্য, আমিও বলছি ঘটনা সত্য। প্রশ্ন হলো- একেকটা মামলায় ১৫০-২০০ জনকে জড়িয়ে অন্যায়ভাবে তা কি রাষ্ট্র প্রমাণ করতে পারবে। যার গুলিতে মারা গেছে, তাকে ছাড়া সবাইকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।

এই মিথ্যা মামলাগুলো জুলাইয়ের গ্রহণযোগ্যতা কমিয়েছে নাকি বাড়িয়েছে।'

ওই পোস্টে মো. তারেক রহমান বলেন, পলাতককে হয়ত ফাঁসির রায় দেবে, যাকে এ জীবনে দেশে আনা যাবে না, আর আটককে রাজসাক্ষী বানিয়ে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করবে। মারাত্মক বিচার চলছে, দুজনেই বেঁচে গেল।

এই বিচার কার্য নিয়ে নিজের অবচারবেশন জানান আমজনতার দলের সদস্য সচিব। তিনি বলেন, জুলাই নিয়ে বিচার ও আইনী গতিপথ পুরোটায় পথভ্রস্ট। তাজুল ইসলাম শিশির মনিরদের চালাকি পুরোটায় ফাঁস হয়ে গেছে, আইজিপি মামুনকে নিয়ে একটা বড় দান মেরে দিয়েছে। পুরো জুলাই মামলা তাদের নির্বাচনী ব্যায়ের আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। আবার দেখবেন লোক দেখানো বিচার করতে দুচারজন এমপি মন্ত্রীকে ফাঁসিও দিয়ে দিতে পারে।

নিজের চাওয়া জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমি আসলে কী চাই, আমি চাই ন্যায় বিচার। আদালতে যেমন ন্যায় বিচার চাই। ভোটের মাঠেও ন্যায় বিচার চাই। আদালতের পাশাপাশি জনগণও রায় দিক। শুধু মুখে মুখে বললেই তো হবে না, উমুক খারাপ। জনগণের ভোটে কে খারাপ কে ভালো তার প্রতিফলন ঘটুক। ভোটে হারার ভয়ে প্রতিপক্ষকে ভোটের মাঠের বাহিরে রাখতে চাওয়া ফ্যাসিজম ছাড়া আর কি?

আইআর/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন থাকলে ‘জামায়াত’ অস্বস্তি বোধ করবে

আমি আর বিষয়টি জটিল করতে চাই না,মন্তব্য রাষ্ট্রপতির Dec 31, 2025
img
জানুয়ারির ১ তারিখকেই কেন বছরের প্রথম দিন ধরা হয়? Dec 31, 2025
img
ঢাকা ত্যাগ করেছেন এস জয়শঙ্কর Dec 31, 2025
img
‘মৃত্যুর আগপর্যন্ত ভালোবেসে যাব’ বিচ্ছেদের পর সংগীতশিল্পী সালমা Dec 31, 2025
img
ভারতের এক কূটনীতিকের সঙ্গে গোপনে বৈঠক হয় ডা. শফিকুর রহমানের Dec 31, 2025
img
‘ক্ষমতার বাইরে থেকেও মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়ার প্রমাণ এই জনসমুদ্র’ Dec 31, 2025
img
হাসপাতালে ভর্তি ব্রাজিলের কিংবদন্তি ডিফেন্ডার Dec 31, 2025
img
রুমিন ফারহানার নামে ধানমন্ডিতে ৫ ফ্ল্যাট ও ৫ কাঠা জমি, হাতে নগদ ৩২ লাখ টাকা Dec 31, 2025
img
গম্ভীরকে নিয়ে মুখ খুলল বিসিসিআই Dec 31, 2025
img
দ্বিতীয় সংসার ভেঙে যাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন সালমা Dec 31, 2025
img
তারেক-শফিকুর-নাহিদের চেয়ে আয় বেশি নুরের Dec 31, 2025
img
২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট পেতে রেকর্ড সংখ্যক আবেদন Dec 31, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের স্পিকারের সাক্ষাৎ Dec 31, 2025
বেগম জিয়াকে নিয়ে স্মৃতিচারণে লাখো জনতার ভালোবাসায় বিদায়ী সমাবেশ Dec 31, 2025
দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জমায়েত Dec 31, 2025
হারিয়ে যাওয়ার কথা মনে করালেন অভিনেতা আরশ খান Dec 31, 2025
img
রাহার জন্য বড় সিদ্ধান্ত, বলিউড থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন আলিয়া ভাট Dec 31, 2025
img
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর নেই Dec 31, 2025
img
নতুন বছরে স্বর্ণের দামের সুখবর দিল বাজুস Dec 31, 2025
img
একযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ১৭ কমিশনারকে বদলি Dec 31, 2025