অর্থ আত্মসাৎ, হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী আত্মসমর্পণ করে জামিন নিতে আদালতে রওনা দিয়েছেন।
এর আগে মেহজাবীন তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছেন। আদালতে উপস্থিত হতে রওনা দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেহজাবীন আদালতের কাছাকাছি রয়েছেন।
কিছু সময়ের মধ্যেই পৌঁছবেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.আলাউদ্দিন বলেন, গত ৩ নভেম্বর আদালত মেহজাবীন ও তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ ছাড়া আগামী ১৮ নভেম্বর গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য আছে।
নথি থেকে জানা গেছে, বাদীর সঙ্গে দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসামি মেহজাবীন চৌধুরীর নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থে এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট সাতাশ লাখ টাকা দেন।
এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যাবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে আজকে দেব, কালকে দেব বলে দীর্ঘদিন কালক্ষেপণ করে।
নথি থেকে আরো জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন। ওই দিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জন গালাগাল করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না’ তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।
এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার জন্য পরামর্শ দেয়।
এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/ ১১৭(৩) ধারায় মামলা করেন। পরবর্তীতে বিচারক মামলা আমলে নিয়ে মেহজাবীন ও তার ভাইকে হাজিরের নির্দেশ দেন। কিন্তু মেহজাবীন আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ৩ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এসএন