শুল্কযুদ্ধের মধ্যেই চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে মার্কিন বাজারে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি। এ সময়ে প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাজ্যে। বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি রপ্তানিহয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। তবে অপ্রচলতি বাজারে কমেছে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ।
গত আগস্ট থেকে মার্কিন বাজারে পণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ বেশি শুল্ক গুনতে হচ্ছে বাংলাদেশি রফতানিকারকদের। এমন শুল্ক বাধার মধ্যেই দেশটিতে বেড়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানি।
রপ্তানিউন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেশ ভিত্তিক রপ্তানিআয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৫৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
হিসাব বলছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ সময়ে বাংলাদেশি পণ্যের শীর্ষ রপ্তানিবাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৬২৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার মূল্যের পোশাক বিক্রি করেছেন উদ্যোক্তারা। মোট রফতানির ৪৮ শতাংশের বেশি এই বাজারে গেলেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ।
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছে ১৫৩ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের পোশাক। যা মোট রফতানির ১১ দশমিক ৮১ শতাংশ। আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। এদিকে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে কানাডায় রপ্তানিহয়েছে ৪৪ কোটি ২৩ লাখ ডলারের পোশাক।
তবে অপ্রচলতি বাজারে কমেছে রপ্তানি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমে ১৫টি দেশে রপ্তানি হয়েছে ২১৬ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক।
ইএ/টিকে