ভুয়া সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের দায়ে বরগুনায় এক গ্রাম্য ডাক্তারকে এক বছর ছয় মাস এবং অপর আরেকজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এই অপরাধে আরও দুজনকে জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্ বরগুনা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় একটি সামারি ট্রায়াল (সংক্ষিপ্ত বিচার) পরিচালনার পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের এই কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে, জহিরুল ইসলাম সৌরভ নামে একজনকে এক বছর ছয় মাস এবং সুজন চন্দ্র লস্কর নামে অপর আরেকজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া, একই সময়ে বিধান রঞ্জন সরকার ও দিলীপ কুমার দাস নামে আরও দুজনকে ১ লাখ করে মোট ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ও পুলিশের উপস্থিতিতে রাতে একটি সামারি ট্রায়াল পরিচালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. শরিয়ত উল্লাহ্। এ সময় শহরের ফার্মেসি পট্টি নামক এলাকায় ভুয়া পদবি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের দায়ে চারজনকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে আটক চারজনের মধ্যে তিনজন তাদের ভুল স্বীকার করায় তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড (মোট ৩ লাখ টাকা) প্রদান করা হয়।
এই তিনজনের মধ্যে সুজন চন্দ্র লস্কর নামে একজন জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া, জহিরুল ইসলাম সৌরভ নামে আটক আরেকজন তার ভুল স্বীকার না করায় তাকে এক বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সামারি ট্রায়াল পরিচালনার সময় ভুয়া সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করার দায়ে চারজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২২ ধারা অনুযায়ী ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। তবে তাদের মধ্যে দুইজন জরিমানা পরিশোধ করলেও একজন জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় তাকে ছয় মাস এবং অপর একজনকে (যে ভুল স্বীকার করেনি) এক বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
পিএ/টিএ