জিতু কামালের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা তাঁকে বুঝিয়েছে, জীবনে সবচেয়ে বড় বিপদ আসে নীরবতাকে সঙ্গী করলে। নিজের সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, অন্যায় মেনে নেওয়া মানে নিজের মধ্যেই অন্যায়কে জায়গা করে দেওয়া। তার ভাষায়, মানুষ যখন আশা নিয়ে চুপ থাকে, তখনই অন্যায় মাথা তুলে দাঁড়ায়। এক ধরনের আত্মসমালোচনার সুরে অভিনেতার কথাগুলো ছড়িয়ে পড়েছে ভক্তদের টাইমলাইনে।
শিল্পী হিসেবে এবং সাধারণ মানুষ হিসেবেও তিনি বারবার বলেছেন, নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করার চেয়ে অবস্থান স্পষ্ট করা জরুরি। তার অভিজ্ঞতায়, বিনোদন জগতে নীরবতা অনেক সময় সুবিধাভোগীদের হাতেই শক্তি তুলে দেয়। তিনি মনে করেন, কেউ কথা না বললে কোনও পরিবর্তনই সম্ভব নয়।
জিতু কামালের এই পোস্ট ঘিরে আলোচনা জমে উঠেছে অনলাইনে। অনেকে এটিকে বর্তমান শিল্প অঙ্গনের নানা জটিলতার প্রতিফলন বলে মনে করছেন। কেউ কেউ আবার পাশে দাঁড়িয়েছেন তার সরল বক্তব্যের, যেখানে ব্যক্তিগত অভিমান আর সমাজ বাস্তবতা মিলেমিশে গেছে। এক অভিনেতার দৃঢ় অবস্থান যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে, শিল্পীর কণ্ঠস্বরও সমাজের বিবেক হয়ে ওঠে।
আরপি/টিকে