মঞ্চে কিংবা পর্দায় নয়, যেন জীবনের গভীর সত্য ছুঁয়ে গেলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সম্প্রতি একটি বক্তব্যে তিনি এমন এক বাস্তবতার কথা বললেন, যা শুধু তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং সমাজের দীর্ঘদিনের আচরণকেও উন্মোচন করে। মিঠুনের ভাষায়, মানুষ যখন সত্য বলে, তখনই তাকে নানা তকমা দিতে শুরু হয়। সেই সত্য যদি কারও স্বার্থে আঘাত হানে, তবে তাকে মুহূর্তেই রাজনীতি করা মানুষ হিসেবে দেগে দেওয়া হয়।
মিঠুন চক্রবর্তী বহু দশকের জনপ্রিয়তা ও অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও প্রায়ই খোলামেলা মত প্রকাশ করেন। তার বিশ্বাস, সত্য উচ্চারণের সাহস এখনই সবচেয়ে দুর্লভ। মানুষের অভ্যাস, স্বস্তির জায়গায় থাকতে চাওয়া। অস্বস্তিকর সত্য সামনে এলে তারা চোখ ফিরিয়ে নেয়। তার মতে, সমাজের বড় অংশই বাস্তবতাকে মেনে নিতে চায় না। সত্য শুনলেই মানুষের মনে সন্দেহ জাগে, তাই সেটাকে রাজনীতির মোড়কে ঢেকে ফেলা হয়।
তার কথার ভঙ্গিতে ছিল হতাশা, কিন্তু তাতে লুকিয়ে ছিল দৃঢ়তা। কারণ মিঠুনের জীবনসংগ্রাম বহুবার প্রমাণ করেছে, তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা বলতে কখনো ভয় পান না। তার এই মন্তব্য ঘিরে ভক্তদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে-এ কি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ইঙ্গিত, নাকি বর্তমান সময়ের সামাজিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি?
যাই হোক, তার প্রতিটি বক্তব্যের মতো এটিও মানুষের মনে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। মিঠুনের মতে, সত্য যতই অপছন্দনীয় হোক, তা আড়াল করে রাখা যায় না। আর এই সত্য উচ্চারণের পথেই তার অটল অবস্থান।
টিজে/টিএ