দাহ শেষ। অথচ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো মৃত্যুর খবর কাউকে জানায়নি ধর্মেন্দ্রর পরিবার। আজ সোমবার সকালে মুম্বাইয়ের বাড়িতে মারা গেছেন বলিউডের সোনালি দিনের অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল। কিন্তু কেন এই নীরবতা?
তারকাদের কেউ মারা গেলে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন পরিবারের সদস্যরা। এটা রীতিমতো বলিউডের নিয়মে পরিণত হয়েছে। অথচ ধর্মেন্দ্রর ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। অভিনেতার পরিবার সংশ্লিষ্ট একজন সাংবাদিক দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন এর কারণ।
ওই সাংবাদিক জানান, ধর্মেন্দ্রর পরিবার মূলত অভিমান করেছে। কারণ এর আগে মৃত্যু না হলেও সংবাদমাধ্যমগুলো তার মৃত্যুর খবর প্রচার করেছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ধর্মেন্দ্রর পরিবার। ওই সূত্র জানিয়েছে, শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর হয়তো আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনেতার চলে যাওয়ার খবর প্রকাশ করবে ধর্মেন্দ্রর পরিবার।
ভারতীয় ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ার জানিয়েছে, বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আজ সোমবার সকালে মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। কদিন আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। তখন তার মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল।
১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারতের পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় ধর্মেন্দ্র সিং দেওলের জন্ম। শৈশব থেকেই সিনেমার প্রতি ছিল তার গভীর অনুরাগ। ১৯৬০ সালে অর্জুন হিঙ্গোরানী পরিচালিত ‘দিল বিহ তেরা হাম বিহ তেরে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তার। সর্বশেষ করণ জোহর পরিচালিত ‘রকি ওউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় অভিনয় করেন ধর্মেন্দ্র।
ধর্মেন্দ্র অভিনীত বিখ্যাত সিনেমা ‘শোলে’। এছাড়া ‘চুপকে চুপকে’, ‘সত্যকাম’, ‘আনন্দ অর আনন্দ’, ‘ফাগুন’, ‘হকীকত’, ‘দো বাদান’, ‘জীবন মৃত্যু’, ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’, ‘রাজা জানি’সহ বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর। সেই সংসারে তাদের দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওল এবং দুই মেয়ে বিজেতা দেওল ও অজিতা দেওল। পরে নন্দিত অভিনেত্রী হেমা মালিনিকে বিয়ে করেন অভিনেতা। সেই সংসারে তাদের দুই মেয়ে এষা দেওল ও অহনা দেওল।
শেষ পাওয়া খবর সূত্র জানিয়েছে ভিলে পার্ল শ্মশানে ধর্মেন্দ্রর দাহ সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমও সেরকম জানিয়েছে।
এসএন