মধ্যপ্রাচ্যে মানবিক খাদ্য সহায়তায় বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, এই সহায়তার মাধ্যমে তারা অঞ্চলটির খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সাজাতে চায়। এতে গাজার নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) নিউইয়র্কে ফরেন প্রেস সেন্টারে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওয়াল্টজ, কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রলিন্স এবং বাণিজ্য উপসচিব লুক লিন্ডবার্গ।
লিন্ডবার্গ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অর্থনীতি-গাজাসহ-দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো থেকে গম ও শস্য আমদানি করে আসছে। নতুন পরিকল্পনায় সহায়তার মাধ্যমে তাদের আমদানি কিছুটা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঘোরানো হবে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের মতো সংস্থাগুলোর সহায়তায় গম ও শস্য প্রক্রিয়াকরণে স্থানীয় সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করবে।
কৃষিমন্ত্রী রলিন্স জানান, ‘ফুড ফর পিস’ কর্মসূচি ইউএসএইড থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগে স্থানান্তর করা হবে। ফলে সরাসরি অর্থ সহায়তার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের শস্য ও খাদ্যপণ্য পাঠানোকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত ওয়াল্টজ বলেন, এই কৌশল ইউক্রেন নীতির সঙ্গেও যুক্ত। কৃষ্ণসাগর, ওডেসা বন্দর ও ডিনিপ্রো নদীর রপ্তানি রুট সুরক্ষিত করা যুক্তরাষ্ট্রের বড় লক্ষ্য।
ওয়াল্টজ ও রলিন্স বলেন, নতুন নীতি মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপস্থিতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে।
ওয়াশিংটন বলছে, গাজা ও আশপাশের দেশগুলোতে বিদ্যমান খাদ্য সহায়তাকে তারা টেকসই অংশীদারত্বে রূপ দিতে চায়। এতে অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়বে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার সম্প্রসারণও হবে। সূত্র : শাফাক নিউজ
কেএন/টিকে