এনবিআরের ১৭ জনের সম্পদ জব্দ-বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুদক

বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১৭ জন কর্মকর্তার সম্পদ জব্দ ও বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চাইবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে কর ও শুল্ক ফাঁকিতে সহায়তা করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্তদের সম্পদের উৎস যাচাই করতে বিভিন্ন দফতরে এরইমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে অবৈধ সম্পদের সত্যতা পাওয়ায় ১৭ কর্মকর্তার কাছেই সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক।

এই ১৭ কর্মকর্তার তালিকায় আছেন, এনবিআরের আয়কর নীতি বিভাগের সদস্য মো. লুৎফুল আজিম ও কে এম বদিউল আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (সিআইসি) এ মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম কমিশনার মো. তারিক হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার কাজী মো. জিয়াউদ্দিন, রেলওয়ে কাস্টমসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান, বৃহৎ করদাতা ইউনিট (ভ্যাট)–এর অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া, কর অঞ্চল–১৬ এর উপ কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম ও কর অঞ্চল- ৮ এর অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা আশিক রানা।

এছাড়া বিসিএস কর একাডেমির যুগ্ম কর কমিশনার মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন খান, কর অঞ্চল–১৬ এর উপ কর কমিশনার মোনালিসা শাহরিন সুস্মিতা, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (ভ্যাট)–এর অতিরিক্ত কমিশনার হাসান তারেক রিকাবদার, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মামুন মিয়া, গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার সাহেলা সিদ্দিক, কর আপিল ট্রাইব্যুনালের কমিশনার লোকমান আহমেদ এবং কর অঞ্চল–৩ এর কমিশনার এম এম ফজলুল হকের নামও রয়েছে।

গত ১৯ আগস্ট এই ১৭ জন কর্মকর্তার সম্পদ বিবরণী চায় দুদক। তথ্যানুসন্ধানে তাদের অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় দুদক।

রাজস্ব বোর্ড দুই ভাগ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলতি বছরের জুন মাসে এনবিআরে সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে আন্দোলন শুরু হয়। এনবিআরের চেয়ারম্যানের অপরসারণ দাবিতে এক সপ্তাহের কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও সবশেষ দুই দিনের কমপ্লিট শাটডাউন পালনের পর কাজে ফেরেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় আন্দোলনরত ১৬ এনবিআর কর্মকর্তার ‘দুর্নীতির’ তথ্যানুসন্ধান শুরু করে দুদক।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় জামিনে মুক্তি পেলেন ৩৫ জন Nov 25, 2025
img
চলে গেলেন মেসিকে আর্জেন্টিনার জার্সি পরানোর নেপথ্য নায়ক ওমর সাউতো Nov 25, 2025
img
পলাশ কি স্মৃতিকে ঠকাচ্ছিলেন?স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল Nov 25, 2025
img
শুধু আ.লীগ করার কারণে যেন বিচার না হয় : ট্রাইব্যুনালকে আমির হোসেন Nov 25, 2025
img
বোরকা পরে পার্লামেন্টে আসায় সেই সিনেটর ৭ দিনের জন্য বরখাস্ত Nov 25, 2025
img

গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫

উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক চলছে Nov 25, 2025
img
মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে ভিয়েতনাম, প্রবৃদ্ধিতে এগিয়ে বাংলাদেশ Nov 25, 2025
img
জায়গার মালিকানা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা Nov 25, 2025
img
আমাদের ডিজিটাল ফেজের ভেতর ঢুকতে হবে : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী Nov 25, 2025
img
নির্বাচনে যেকোনো কারসাজি দেশের জন্য বিপজ্জনক : জাহেদ উর রহমান Nov 25, 2025
img
৩য় বারের মতো ভারত সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু Nov 25, 2025
img
মেজাজ হারিয়ে সতীর্থকে চড়! Nov 25, 2025
img
সাগরে আরও একটি লঘুচাপ, আরও ঘনীভূত হতে পারে আগেরটি Nov 25, 2025
img
যশোরে যুবদল নেতা আটক Nov 25, 2025
img
জ্যেষ্ঠ নেতাদের মুখের ভাষায় দুর্ভিক্ষ - স্ট্যাটাস দিয়ে এনসিপি নেতার পদত্যাগ Nov 25, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মীর মুগ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ‘কালিমা লেপন’ Nov 25, 2025
img
ইএফটি নিয়ে নতুন নির্দেশনা শিক্ষা অধিদফতরের Nov 25, 2025
img
শাকসু নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা, ভোট ২০ জানুয়ারি Nov 25, 2025
img
রাজনৈতিক কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে পারবে না: সিইসি Nov 25, 2025
img
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ১৮ পদে বেতনক্রম পুনর্গঠনের প্রস্তাব Nov 25, 2025