সদ্যই অন্তর্জালে মুক্তি পেয়েছে রণবীর সিং অভিনীত ‘ধুরন্ধর’-এর ট্রেলার, যা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। মুক্তির পর ট্রেলারটি নিয়ে ইতিবাচক প্রশংসা পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
ট্রেলারে অন্যান্য অনেকের মতো অল্প উপস্থিতিতেই নজর কেড়েছেন অভিনেতা অর্জুন রামপাল। সিনেমাটিতে তাকে দেখা যাবে নেতিবাচক চরিত্রে।
ট্রেলারেও তারই আঁচ পাওয়া গেছে। ছবিটিতে রণবীরের বিরুদ্ধে অর্জুনের চরিত্র কতটা নজর কাড়ে তা মুক্তির পরেই বোঝা যাবে।
এদিকে এই ছবির বাইরেও বিভিন্ন সিনেমাতেই খলচরিত্রে দেখা দিয়েছেন অর্জুন। সে হিসেবে বলাই যায়, ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমাতে খলনায়কের চরিত্রে দেখা যায় অর্জুনকে।
ছবির নামী প্রযোজক মুকেশ মেহরার শীতল চাহনি এখনও স্পষ্ট দর্শকের মনে। শাহরুখ নায়ক হিসাবে যতটা প্রশংসিত হয়েছিলেন, অর্জুন নেতিবাচক চরিত্রে হয়তো খানিক বেশিই ভালোবাসা পেয়েছিলেন।
এছাড়াও ২০০৫ সালে মুক্তি পায় ‘এক আজনাবি’। এই ছবিতেই প্রথম নেতিবাচক চরিত্রে দেখা যায় তাকে।
অ্যাকশন থ্রিলার ঘরানার এই ছবিতে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। ‘ক্যাপ্টেন’-এর চরিত্রে দেখা যায় অর্জুনকে, যে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সকলের মন জয় করে নেয়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বোঝা যায়, সে-ই যত নষ্টের গোড়া। অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত এই ছবি ২০০৪ সালে হলিউডে মুক্তি পাওয়া ‘ম্যান অন ফায়ার’-এর রিমেক।
২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘ড্যাডি’।
এই ছবিতে অরুণ গাওলির চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠার সফর পর্দায় নিখুঁত ফুটিয়ে তুলেছিলেন অর্জুন, এমনই সাবলীল ছিল তার অভিনয়, মত ফিল্ম সমালোচকদের। তার মতোই চালচলন, কথাবার্তা, এমনকি অর্জুনের ‘লুক’ও নজর কেড়েছিল দর্শকের। বক্সঅফিসে দারুণ ফল করতে পারেনি এই ছবি, কিন্তু ঝড় তোলে অর্জুনের পারফরম্যান্স।
অর্জুনের নেতিবাচক চরিত্রের কথা বললে বাদ দেওয়া যায় না ‘রা ওয়ান’কে। সুঠাম চেহারা, নিখুঁত স্টান্ট— যে কোনও দর্শককে ভিলেনের প্রেমে পড়তে বাধ্য করে! গোটা ছবি জুড়ে নায়কের সঙ্গে সমানে টক্কর দিয়েছেন তিনি, কখনও হয়তো খানিক এগিয়েও গিয়েছেন। তার নামেই ছবির নাম। শাহরুখ খান, কারিনা কাপুর খানের অভিনয়কে একপাশে সরিয়ে তিনি যেন দর্শককে বাধ্য করেছেন তার দিকে নজর দিতে।
২০২২ সালে মুক্তি পায় ‘ধাকড়’। এই ছবিতে তার চরিত্রের নাম রুদ্রবীর। অস্ত্র ও মানুষ পাচার করাই যার কাজ। এই চরিত্রটি এমনই যার থেকে চিরকাল সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রাপ্য থেকে সে চিরকাল বঞ্চিত। এই ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা, দিব্যা দত্ত ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। যদিও চূড়ান্ত অসফল হয় ছবিটি, কিন্তু অর্জুনের চরিত্র প্রশংসিত হয়।
মডেল হিসাবে কর্মজীবনের শুরু, তার পরে অভিনয়ে প্রবেশ। প্রায় ২৫ বছরের অভিনয় জীবনে অজস্র কাজ করেছেন তিনি। কোনও দিন ‘তারকা’ হয়ে উঠতে না পারলেও দীর্ঘ এতগুলো বছর ধরে প্রাসঙ্গিকতা হারাননি অর্জুন।
এসএন