রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনার কথাবার্তায় জড়িয়ে আছে ইউরোপীয় কোম্পানি এয়ারবাসের নাম। কোনো কারণে এই এয়ারবাস কেনা না হলে তা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে সাফ জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ।
আজ (বুধবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠান ‘ডিক্যাব টকে’ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জার্মান রাষ্ট্রদূত।
এয়ারবাস কেনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এর প্রভাব আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর পড়বে কি না— জানতে চান এক সাংবাদিক। স্পষ্ট জবাবে রুডিগার লোটজ বলেন, অবশ্যই পড়বে। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার এবং এতদিন যেভাবে আমাদের প্রতি আচরণ করা হয়েছে; আমরা চাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। ব্যবসায়ে টেকসই সম্পর্ক খুব জরুরি।
তিনি বলেন, অবশ্যই এটি বাংলাদেশের স্বাধীন সিদ্ধান্ত। কিন্তু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক জীবনে যেমন হয়, প্রতিটি সিদ্ধান্তেরই সামগ্রিক পরিবেশ ও মনোভাবের ওপর কিছু না কিছু প্রভাব পড়ে। আমরা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখব, কারণ এটি দুপক্ষেরই স্বার্থে। তবে আপনি যদি জানতে চান যে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না—‘পরিণতি’ শব্দটি হয়তো একটু শক্ত শোনায়, তবে কিছুটা প্রভাব অবশ্যই থাকবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এর পেছনে আরও কিছু বিষয় আছে। যেমন জিএসপি সংক্রান্ত আলোচনা; এগুলো কাউকে হুমকি দেওয়ার বিষয় নয়, মোটেও না। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত সিদ্ধান্তগুলো আংশিকভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তাই জিএসপি প্লাস আলোচনার অগ্রগতি বা সিদ্ধান্ত, এয়ারবাস নিয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে ঘিরে সামগ্রিক পরিবেশে প্রভাব ফেলে।
তিনি বলেন, এয়ারবাস অসাধারণ মানের পণ্য সরবরাহ করে। আমি যদিও এয়ারবাসের প্রতিনিধি নই।
ভিসা ইস্যু
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার সময় আরও কমিয়ে আনার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভিসার বিষয়টি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। অনেক শিক্ষার্থী জার্মানিতে পড়তে যেতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি, কিভাবে ভিসা দেওয়ার সময়টাকে কমিয়ে আনা যায়। অপরদিকে, বাংলাদিশি ভিসা প্রার্থী আছে তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের চাওয়া ভিসা প্রত্যাশীরা সঠিক তথ্য দিক। কারণ, অনেক সময় তারা জাল কাগজপত্র দেন, যার ফলে আমাদের যারা ভিসা দেন তাদের এসব যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা সঠিক কাগজ দেন। কিন্তু যারা জাল কাগজপত্র দেন তাদের কারণে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন ভিসা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হয়ে আসে।
ইএ/এসএন