রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, সিলেট টাইটান্স, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স এবং চট্টগ্রাম রয়্যালসকে নিয়ে হওয়ার কথা ছিল বিপিএলের আগামী আসরে। তবে নিলামের দিন কয়েক আগে ষষ্ঠ দল হিসেবে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে যুক্ত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। মালিকানা পেলেও দুইটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যাংক গ্যারান্টির পুরো ১০ কোটি টাকা জমা দেয়নি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পুরো টাকা দিতে না পারলে ওই মালিকানা কেড়ে নিয়ে দলটি পরিচালনার দায়িত্ব নেবে বিসিবি।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করার দিন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয় পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে দলগুলোকে ব্যাংক গ্যারান্টির ১০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউই পুরো টাকা দিতে পারেনি। যার ফলে নিলাম পিছিয়ে যাওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়নি। তাতেও অবশ্য সমাধান আসেনি।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত চারটি দল তাদের হিসেব ক্লিয়ার করেছে। যদিও কেউ ক্যাশ টাকা দিয়েছেন, কেউ পে-অর্ডার দিয়েছেন আবার কেউ ব্যাংক গ্যারান্টির টাকাও দিয়েছেন। তবে দুইটি ফ্র্যাঞ্চাইজি এখনো সেটা পূরণ করতে পারেনি। তাদের মধ্যে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি হচ্ছে নোয়াখালী। দেশ ট্রাভেলসকে প্রথম ধাপে ৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে বলা জানা গেছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কীভাবে তাদের ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে সেটা নিয়ে ইফতেখার মিঠু বলেন, ‘কেউ ক্যাশ টাকা দিয়ে গেছে। কেউ ক্যাশ টাকা দিয়ে বলে গেছে আমরা ব্যাংক গ্যারান্টি আনছি, এরকমও হয়েছে। পে-অর্ডার দিয়ে গেছে আমরা জমা দিয়ে দিছি। কেউ পুরোটা চেক দিয়েছে, কেউ ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। অনেক কিছু মিশ্রণ আছে।’
বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যাংক গ্যারান্টির পরিবর্তে চেক দিয়েছে। বিপিএলের প্রেক্ষাপটে চেক বাউন্স হওয়ার ঘটনা ঘটেছে অনেকবার। গত বিপিএলেও ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে চেক বাউন্স করতে দেখা গেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ব্যাংক গ্যারান্টির ক্ষেত্রেও যদি এমন কিছু হয় তখন কী করবে পরিচালক। ইফতেখার মিঠু জানান, এমন পরিস্থিতি হলে তখন ওই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা কেড়ে নিয়ে দল চালাবে বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বলেন, ‘খেলার আগে আমরা যদি ওই চেকের টাকাগুলো না পাই ক্রিকেট বোর্ড আমরা প্রস্তুত আছি, আমাদের দল প্রস্তুত আছে টেকওভার করার জন্য। আপনাকে মাঠে নামতে দিব না, আপনার দল নিয়েই আমরা মাঠে নামব।’
ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নে তিনি যোগ করেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড আরও একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে, ধাপে ধাপে টাকা দেয়ার প্রক্রিয়া বলে দিয়েছি, এটা যদি পূরণ না করে...কেউ ধরেন চেক দিয়ে গেছে একটা তারিখ দিয়েছে ওইদিন ব্যাংক গ্যারান্টি বা টাকা দেবে যদি না দেয় তাহলে ক্রিকেট বোর্ড ওই দলের মালিকানা নেবে। আমরা যদি দেখি ইন্টিগ্রিটিতে কোনো ব্যত্যয় তাহলে আমরা প্রস্তুতি।
এটা আমরা একটা ব্যাকআপ অপশন তৈরি করে রেখেছি। টুর্নামেন্টটা আমরা ক্লিন রাখার চেষ্টা করছি। টুর্নামেন্টের কোন সময় যদি সমস্যা দেখি তাহলে আমরা দলের মালিকানা নেব এবং চালাব।’
এসএস/টিএ