বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, ‘জাতির পিতা জিয়াউর রহমান মাত্র কয়েক বছরে রাষ্ট্রকে ৫০ বছর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তারেক রহমান জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে তিনিও দেশকে আরো ২৫ বছর এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
বুধবার (২৬ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় বাংলাদেশ নবজাতক হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘ওয়ার্ল্ড প্রি-ম্যাচুরিটি ডে’ ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিন নবজাতক শিশুকে নতুন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বরকতউল্লা বুলু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এবার খুশিতে ভোট দেবেন। উনি (তারেক রহমান) প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিনিয়োগের ওপর জোর দেন। তার মতে, বাংলাদেশে কয়েকটি খাত রয়েছে, যেসব খাতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় অর্থ লুণ্ঠনের জন্য। অর্থ লুণ্ঠনের অন্যসব খাত বন্ধ করে দিয়ে যদি এই দুটি খাতে অর্থ ব্যয় করা যায়, তাহলে দেশে প্রতিবছর ১৫-২০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে দেশ অনেক উন্নত হবে, দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
বরকতউল্লা বুলু ১৯৮০ সালের একটি স্মৃতিচারণা করে বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নাটোরের উত্তরা গণভবনে দুই দিনব্যাপী একটি কর্মশালার আয়োজন করেন। সেখানে তিনি আমাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনার জীবনে এখন থেকে আগামী ৫ বছর সৎ থাকেন, সৎভাবে রাষ্ট্রের জন্য ব্যয় করেন, রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।’
ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মো. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা সুলতানা আসমা, বিশিষ্ট সাংবাদিক এ কে এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. মজিবুর রহমান, নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলার ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ডা. মুজিব নিউবর্ন ফাউন্ডেশনটি চলতি বছরের ১৯ জুন থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেও প্রফেসর ডা. মো. মজিবুর রহমান দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিত্যক্ত নবজাতকদের উদ্ধার ও চিকিৎসার কাজ করে আসছেন। ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পূর্বেই তিনি ৪১ জন পরিচয়হীন নবজাতককে উদ্ধার, চিকিৎসা এবং দত্তক প্রদানের মাধ্যমে নতুন জীবন উপহার দিয়েছেন। আজ তিন নবজাতককে হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে ফাউন্ডেশনটির মোট উদ্ধারকৃত ও পুনর্বাসিত নবজাতকের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১-এ।