বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘বিএনপি নারীবান্ধব রাজনৈতিক দল। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের নারী সমাজের অধিকারের জন্য কাজ করে আসছে। যে কারণে দেশের নারী সমাজ বিএনপির প্রতি আস্থাশীল। বিগত সময়ে যখন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে, নারী সমাজ তার প্রতিদান দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়ার গাবতলী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘সমাজে নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার’ শীর্ষক নারী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া দেশের নারী সমাজের জন্য কী করেছেন, সেটি সবার জানা আছে। তারেক রহমানও দেশের নারী সমাজের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় কাজ করতে চান। এই বিষয়টি তিনি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখায় তুলে ধরেছেন। সেটি প্রান্তিক পর্যায়ে নারী সমাজের মাঝে তুলে ধরতে হবে।’
সেলিমা রহমান বলেন, একটি স্বৈরাচার সরকার আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আপনারা ভোট দিয়ে দেশকে বাঁচাবেন, জনগণকে বাঁচাবেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে।
সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারী ও পুরুষের মধ্যে কোন বৈষম্য থাকবে না, থাকবে না সংখ্যালঘু নামের তকমা। আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন দেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই এবং থাকবে না, এ দেশের সকল নাগরিক হচ্ছে বাংলাদেশি।
তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে বিএনপি যদি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় প্রতিটি পরিবারে নারীপ্রধানের নামে ফ্যামেলি কার্ড প্রদান করা হবে, যা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারবে।
কাজেই আগামী নির্বাচনে এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বিপুল ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপিরসহ সভাপতি ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন, বগুড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ।
কেএন/টিকে