হাসিনা পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের জায়গাটা ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের মাতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত দুদিন ধরে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন। চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তার আশু রোগমুক্তির জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
সাংবাদিকদের নিজস্ব দাবি আদায়ের জন্য মালিক পক্ষ অথবা সরকারের সঙ্গে কাজ করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করলে সমস্যা সমাধান হয় না। গত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদ, অর্থাৎ শেখ হাসিনা পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের জায়গাটা ধ্বংস করে দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘এমন একটা সময় এখন, যে সময়ের জন্য গোটা জাতি অপেক্ষা করছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে আমরা সক্ষম হব। সেই সঙ্গে আমাদের মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রে ফিরতে চাইলে অপরের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মূল্য দিতে হবে। ভিন্নমত পোষণ করলে দমনের চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মূল জায়গায় সবার ঐক্য থাকবে, কিন্তু মতের ভিন্নতাও থাকবে। গণতন্ত্রও হচ্ছে তাই, একমত না হলেও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অবশ্যই রক্ষা করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেশে ভিন্নমত পোষণ করলেই তাকে শত্রু মনে করা হয়। তার সম্পর্কে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার চালানো হয়। এ বিষয় থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকা উচিত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন রাজনীতিকদের নিয়ে যে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়, তাতে করে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না। এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের নৈরাজ্য আর মব ভায়োলেন্সের সৃষ্টি করা হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের যাত্রায় বাধাগ্রস্ত করছে।’
জিয়াউর রহমনার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একইভাবে খালেদা জিয়াও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য যা কিছু দরকার চেষ্টা করতেন। বিএনপির ৩১ দফায়ও এ বিষয়টি রয়েছে।’
সাংবাদিকদের ইউনিয়নকে আরো শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোনো দলের -লেজুড়বৃত্তি না করে নিজেদেরই দাঁড়াতে হবে। তাহলেই দেখবেন আপনার অধিকার আদায় করতে পারবেন।’
আরপি/টিকে