সিনেমার পর্দায় তাঁর চরিত্র ছিল যেকোনো সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা। জীবনকে উপলব্ধি করার এক গভীর দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি শুধু অভিনয় করতেন না, জীবনকেও নানা মাত্রায় বাঁচতেন সাংস্কৃতিকভাবে, সৃষ্টিশীলভাবে, সমালোচনামূলকভাবে। তাঁর মতে, শুধুমাত্র শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকা যথেষ্ট নয়।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দেখিয়েছেন, একজন শিল্পী কিভাবে সমাজের নানা বিষয়কে উপলব্ধি করে নিজের কাজের মাধ্যমে দর্শকের সামনে আনে। তাঁর জীবন দর্শন ছিল চিন্তাশীল, সৃজনশীল এবং অন্তর্দৃষ্টি সমৃদ্ধ। এই মননশীলতা ও পরিপক্বতা শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই প্রতিফলিত হতো।
তিনি আমাদের শেখালেন, বেঁচে থাকার প্রকৃত মানে হলো সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকা, সৃষ্টিশীলভাবে ভাবা এবং সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে জীবনের প্রতিটি ঘটনা উপলব্ধি করা। এই দর্শনই তাঁকে করে তুলেছিল এক অনন্য অভিনেতা, যিনি কেবল অভিনয়ের জন্যই নয়, জীবনকে গভীরভাবে উপলব্ধি করার জন্যও সম্মানিত।
আরপি/টিকে