পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের রফতানিমুখী শিল্পসমূহ দেশের ব্র্যান্ডিং ও পরিচিতি গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ এখন মর্যাদার প্রতীক। এ সুনাম ধরে রাখতে গার্মেন্টস শিল্পকে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন, শ্রম-অধিকার সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) পূর্বাচলে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত Global Sourcing Expo 2025-এ BKMEA আয়োজিত ‘The Potentiality of Bangladesh RMG Sector: The Way Forward’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রম আইন প্রতিপালন, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পানি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা এখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার প্রধান শর্ত। তিনি উল্লেখ করেন, পানি অপচয় কমিয়ে রিসাইক্লিংয়ে যেতে হবে। শিল্পবর্জ্য প্রবাহিত হয়ে নদী-নালা দূষিত হলে তা দেশের পরিবেশ ও শিল্প—উভয়ের জন্যই হুমকি। কেউ এই বিধান ভঙ্গ করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাত বিশ্বের অন্যতম বেশি Green Factory সার্টিফাইড শিল্পের অধিকারী, যা এ খাতকে টেকসই উন্নয়নের বিশ্বমানদণ্ডে উপনীত করেছে। আপনারা একটি শক্তিশালী দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। দেশের সরকারি ভবনগুলোকে গ্রিন বিল্ডিংয়ে রূপান্তর করতে আমরা কাজ করছি; শিল্পখাতও এ পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
পরিবেশ উপদেষ্টা ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের নতুন পরিবেশগত নীতিমালা-বিশেষত প্লাস্টিক প্যাকেজিং ও সাপ্লাই-চেইন কমপ্লায়েন্স-মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববাজার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পকে এখনই প্রস্তুত হতে হবে। টেকসই উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং পদ্ধতি দ্রুত গ্রহণ না করলে প্রতিযোগিতা কঠিন হবে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ সংগঠনের নেতারা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
ইএ/এসএন