পুষ্পা টু: দ্য রুল-এর ঐতিহাসিক সাফল্যের পর আল্লু অর্জুন এখন দক্ষিণী তারকাদের শীর্ষে অবস্থান করছেন। কিন্তু ঠিক এই উত্থানের মুহূর্তেই তাঁর পরবর্তী সিদ্ধান্তগুলোকে ঘিরে উঠেছে নতুন বিতর্ক। ইতিমধ্যে এটলির সঙ্গে তাঁর নতুন ছবির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে লোকেশ কানাগারাজের নাম, যিনি এলসিইউ নামে পরিচিত সেই জনপ্রিয় দুনিয়ার স্রষ্টা। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভক্তদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস, তেমনই তর্ক-বিতর্কও দানা বাঁধছে।
কেন এই সংশয়? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তামিল পরিচালকদের সঙ্গে তেলুগু প্রথম সারির নায়কদের কাজের ফল আশানুরূপ হয়নি। মহেশ বাবুর স্পাইডার, নাগা চৈতন্যর কাস্টডি, রামের দ্য ওয়ারিয়ার, এমনকি রাম চরণের গেম চেঞ্জার প্রতিটি ছবিই প্রত্যাশার তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে। দুই শিল্পভুবনের ভাষা, ধরণ আর দর্শকের পছন্দের সূক্ষ্ম পার্থক্য যেন কোথাও গিয়ে গড়ে তুলেছে অদৃশ্য দেয়াল। সেই দেয়ালের ভাঙন আজও স্পষ্ট নয়।
এরই মাঝে লোকেশ কানাগারাজ নিজেও রয়েছেন রূপান্তরের এক সন্ধিক্ষণে। লিও ছবির স্বস্তিদায়ক না হওয়া সাড়া এবং কুলি প্রকল্পকে ঘিরে ওঠা অনিশ্চয়তা তাঁকে নিয়েও তৈরি করেছে প্রশ্নের ঘূর্ণাবর্ত। এমন অবস্থায় আল্লু অর্জুনের সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য সহযোগিতা যেন আরও বড় ঝুঁকি কিংবা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে একসঙ্গে।
তবে আল্লু অর্জুন সবসময়ই ভিন্ন পথে হাঁটেন। মাইথ্রি মুভি মেকার্সের ব্যানারে, ব্যতিক্রমী গল্প নির্বাচন তাঁর দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। নিজের ক্যারিয়ারে বারবার নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের যে চেষ্টা তিনি করে থাকেন, তারই ধারাবাহিকতায় হয়তো এই সিদ্ধান্তও। কিন্তু তবু প্রশ্ন থেকে যায় এই নতুন অধ্যায় কি নতুন উচ্চতা দেবে, নাকি আগের ব্যর্থ সমীকরণই আবার ফিরে আসবে?
এই সহযোগিতা তাই শুধু দুই শিল্পীর নয়, সমগ্র দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতেরও নজর কাড়ছে। কারণ এখানেই নির্ধারিত হতে পারে নতুন প্যান-ভারতীয় গল্প বলার ধারা, অথবা আরেকটি হতাশার পুনরাবৃত্তি।
এসএস/এসএন