পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাক্মা পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮তম বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, এই চুক্তি কেবল একটি রাজনৈতিক সমঝোতা নয়, এটি দেশের সংবিধানের আওতায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রেখে শান্তি, সহাবস্থান এবং ন্যায্যতার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি মহৎ অঙ্গীকার।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় বেইলি রোডের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতময় সমস্যার সমাধান করাই এই চুক্তির প্রক্রিয়া। এ চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী ও সরকারের মধ্যে একটি বোঝাপড়া, যা সবার জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানদের নির্বাচনের পরিবর্তে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত চেয়ারম্যান দরকার। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত হন।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদগুলোতে যে সব বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও প্রবিধান তৈরি করা জরুরি। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে বিধি-বিধান সহজীকরণের চেষ্টা চলছে।
সুপ্রদীপ চাক্মা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক ই-লার্নিং সুবিধা পৌঁছানো এবং সমতাভিত্তিক জীবনমান উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ লাখ ৫ হাজার সোলার প্যানেল বিতরণ করা হয়েছে এবং আরো বিতরণের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি ‘সোশাল পুলিশিং’ বাস্তবায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে নেগোসিয়েশন নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল খালেক বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তিনি দ্রুত ভোটের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম তিন জেলা পরিষদে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার দিকে এগোনোর কথা জানান।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রাশিদা ফেরদৌস, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম কুমার চাক্মা বক্তব্য রাখেন।
আরপি/এসএন