অগ্রহায়ণের শেষলগ্নে এসে চুয়াডাঙ্গায় শীতের প্রকোপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার পারদ বেশ খানিকটা নিচে নেমে গেছে।
বুধবার (৩রা ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে বেশি। ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক, আর শিশিরে ভিজে যাচ্ছে ফসলের মাঠ ও ঘাস। হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সকাল ও রাতে বেশ ভালোই ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে, যা জনজীবনে শীতের আগমনী বার্তা দিচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জনস্বাস্থ্যে। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানান, আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। শিশুরা মূলত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, অন্যদিকে বয়স্করা ভুগছেন অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, মূলত উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাসের কারণেই তাপমাত্রা দ্রুত কমছে। রাতের তাপমাত্রা হ্রাসের এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। তাপমাত্রার পারদ আরও নিচে নামলে সামনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
ইএ/এসএন