প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কোনোভাবেই সমাজের ওপর বোঝা নন। তারা আল্লাহ প্রদত্ত ভিন্নতর যোগ্যতা, বিশুদ্ধ হৃদয় ও অসীম সম্ভাবনার অধিকারী। যথাযথ সুযোগ, উপযোগী পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা পেলে তারাও সমাজের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা মানবিক দায়িত্ব, নৈতিক কর্তব্য এবং ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, এ দিবস উপলক্ষে দেশের সব প্রতিবন্ধী নাগরিক, তাদের পরিবার, পরিচর্যাকারী, শিক্ষক, পুনর্বাসন কর্মী ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা, সমবেদনা ও অবিচল সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, চিকিৎসা, চলাচল, কর্মসংস্থান, পুনর্বাসন, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষাসহ তাদের সব মৌলিক মানবিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ইনক্লুসিভ এডুকেশন, অ্যাক্সেসিবল অবকাঠামো, সহায়ক প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পরিবারভিত্তিক সাপোর্ট সিস্টেম আরও জোরদার করতে হবে। পরিবারগুলোর মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক চাপ কমাতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে এবং মানবিক সমাজ গঠনে নাগরিক পর্যায়ে সংবেদনশীলতা, শ্রদ্ধা ও সহযোগিতামূলক মনোভাব আরও প্রসারিত হওয়া জরুরি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি মনে করি-- সমন্বিত পরিকল্পনা, আন্তরিক উদ্যোগ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় ভূমিকার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী-বান্ধব জাতি হিসেবে বিশ্বে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
শেষে তিনি আহ্বান জানান, আসুন, ভালোবাসা, সুবিচার ও মানবিকতার আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এক মর্যাদাপূর্ণ, নিরাপদ এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নির্মাণে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করি।
কেএন/টিএ