সোশ্যাল মিডিয়াতে শোবিজ তারকারা ক্রমাগত সাইবার বুলিং-এর শিকার হচ্ছেন। গঠনমূলক সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত তাদের ব্যক্তিগত আক্রমণের মাধ্যমে কটাক্ষ ও হ্যারেজমেন্ট করছে! এই জিডিটাল সহিংসতা ঘটার পেছনে গেল কয়েক বছরে ‘ব্যাঙের ছাতার মতো’ গজিয়ে ওঠা কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ইনফ্লুয়েন্সার ও ব্র্যান্ড প্রমোটারদের অনেকখানি দায়ী করলেন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘এটা আমাদেরই গল্প’ সিরিয়ালের শুটিং সেটে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মনিরা মিঠু বলেন, আমি লক্ষ্য করেছি ইউটিউব-ফেসবুকে ভিডিও বানানো কনটেন্ট ক্রিয়েটর যাদের মানসম্মত কোনো কাজ নাই, অশ্লীলতায় ভরপুর সেইসাথে অনেক জাকজমকপূর্ণ সাজ এবং পোশাক পরে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এসে হাজির হচ্ছে যাদের বলা হয় ব্র্যান্ড প্রমোটার, দেখতে ভালো লাগবে বা আরাম লাগবে তেমন কিছু প্রেজেন্ট করছে না। অথচ ব্র্যান্ড প্রমোটার শব্দটা কত সুন্দর। কিন্তু ম্যাক্সিমাম ব্র্যান্ড প্রমোটার এবং মালিকদের মধ্যে বস্তি লেভেলের ঝগড়াঝাঁটি দেখা যায়! এদের এসব আচরণের জন্য মানুষ খুবই বিরক্ত হয়, তাহলে বলুন এরা সাইবার বুলিং কেন হবে না?
দুজন নারীর পরস্পরের মধ্যে বিদ্বেষের কারণেও সোশ্যাল মিডিয়াতে সাইবার বুলিং হচ্ছে উল্লেখ করে মনিরা মিঠু বলেন, এই কথাটা না বলে পারছি না যে নারীদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে নারী। দুজন পুরুষকে তো দেখছি তারা সাইবার বুলিং করছে না। এটা তো এক নারী আরেক নারীকে বুলিং করতে দেখি। আসলে নারীর সঙ্গে নারীর প্রাচীনকাল থেকে বস্তি লেভেলের ঝগড়াঝাটি হয়ে আসছে, এটা সেটা সাইবার বুলিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টলি হচ্ছে। এগুলোকে আমি বলবো, অবশ্যই শিক্ষা ও রুচির অভাব।
সিঙ্গেল নাটকের পাশাপাশি এই সময়ে প্রচারিত তিনটি জনপ্রিয় সিরিয়ালের তিনটিতেই অভিনয় করছেন মনিরা মিঠু। সিরিয়ালগুলো হচ্ছে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের এটা আমাদেরই গল্প, কাজল আরেফিন অমির ব্যাচেলর পয়েন্ট এবং কেএম সোহাগ রানার ‘দেয়া পাওয়া’।
মনিরা মিঠু বলেন, তিনটি নাটকেই মাশআল্লাহ দর্শকদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন। তারা যতদিন চাইবেন এবং আমাদের উৎসাহ ততদিন কাজ করে যাবো। আমি মনে করি, অভিনেত্রী হিসেবে এটাই আমার জীবন।
টিকে/