গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন বানচাল করার জন্য দেশে ১/১১ এর মতো পরিস্থিতি ঘটানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তা কেউ বানচাল করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, মামলা করে বা অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচন স্থগিত করার কোনো সুযোগ কাউকে দেয়া হবে না। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এই সরকার নিশ্চিত করবে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মানদিয়া বাজারে পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
‘জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না এটা তাদের ব্যাপার’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা প্রেস সচিবের এমন বক্তব্যের ধিক্কার জানাই। আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে ধারণ করছেন না। আপনারা ফ্যাসিবাদের দোসর, আওয়ামী লীগের দোসরদের ব্যাপারে নমনীয়তা দেখাচ্ছেন। জনগণ আপনাদের এই ধরণের অবস্থান মেনে নেবে না। আমরা বসে থাকব না।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগের বিচার শুরু করেছেন। কিন্তু কেন আপনারা জাতীয় পার্টির বিচার শুরু করেন নাই? ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিচার হতে হবে। এবং আওয়ামী লীগের যারা অন্যায় অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হতে হবে। ব্যক্তির বিচার হতে হবে, দলের বিচার হতে হবে।
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে রাশেদ খান বলেন, গণঅধিকার পরিষদ এরই মধ্যে ২০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আমিও ঝিনাইদহ-২ আসনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির সঙ্গে আমরা ২০২২ সাল থেকে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তাদের সঙ্গেও আমাদের আলাপ আলোচনা চলছে। এবং অন্যান্য যেসব ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তি রয়েছে তাদের সঙ্গেও আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা জোটের বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবো।
এর আগে বিকেল ৪টায় হরিণাকুণ্ডু উপজেলার মানদিয়া বাজারে পথসভার আয়োজন করে জেলা গণঅধিকার পরিষদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসের আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
টিজে/টিকে