বাংলা ধারাবাহিকের জগত এখন এক অদ্ভুত চাপা অস্থিরতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। টেলিভিশন পর্দার সামনে বসে থাকা বিশ্বস্ত দর্শক কমছে, বিপরীতে বাড়ছে অনলাইন পাইরেসির বেপরোয়া বিস্তার। ঠিক এই কারণেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী অর্কপ্রভ রায়। তাঁর ভাষায়, এই পাইরেসি এমন এক দানব, যার শিকড় কাটলেও আবার নতুন করে গজিয়ে ওঠে।
অর্কপ্রভ রায় লিখেছেন, ২০২৬ সালের পর নাকি ধারাবাহিক নির্মাণই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। টেলিগ্রাম, ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে প্রতিদিনই নির্মাতাদের কপিরাইট লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি জানান, নাটক বা সিরিয়ালের নতুন পর্ব প্রচার হওয়ার আগেই অনেকে অবৈধভাবে তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
নির্মাতারা যখন ঘাম ঝরিয়ে একটি পর্ব তৈরি করেন, তখন সেই শ্রম মুহূর্তেই ম্লান হয়ে যায় অনলাইন চোরাবাজারের আগ্রাসনে।
অর্কপ্রভের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু সেইসব ব্যক্তি, যারা নিয়মিতভাবে এসব ভিডিও আপলোড করে। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, এরা যেন রক্তবীজ- একটিকে বন্ধ করা মাত্রই আরেকটি জন্ম নেয়। নিজে নিয়মিত রিপোর্ট ও ব্লক করলেও শেষ পর্যন্ত লড়াইটা অসম হয়ে যাচ্ছে। তাঁর মতে, এসব চোরাবাজার শুধু শিল্পী ও কলাকুশলীদের ক্ষতি করছে না, ধ্বংস করে দিচ্ছে পুরো টেলিভিশন শিল্পের অর্থনৈতিক ভিত্তি।
বাংলা ধারাবাহিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাই নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও অনেকেই মনে করছেন, সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অতিরঞ্জিত; তবে অর্কপ্রভের কথায় যে বাস্তব পরিস্থিতির আঘাত রয়েছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শিল্পী-নির্মাতা সবাই এখন একটাই প্রশ্নের মুখে- পাইরেসির থাবা ঠেকানো না গেলে আগামী দিনের বিনোদনজগত কোন পথে যাবে?
কেএন/টিকে