ছোট মেয়েদের কাছে তাদের মায়েরা রোল মডেল, তবে তাদের বেড়ে ওঠায় খালা কিংবা মাসিও খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেয়েদের বেড়ে ওঠার সময় তাদের খালাদের সঙ্গে এমন একটি অনন্য সম্পর্ক গড়ে ওঠতে পারে, যা মায়েদের সঙ্গে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।
বেড়ে ওঠার সময়ে প্রতিটি ছোট মেয়েই বড় হয়ে মায়ের মতো হতে চায়। জন্ম থেকে সৃষ্ট এই দৃঢ় বন্ধন লালন করা প্রতিটি মেয়ের জীবনেই আবশ্যকীয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, কৈশোরে পদার্পণের পরে বেশিরভাগ মেয়েরা কোনো দিক থেকেই তাদের মায়েদের মতো হতে চায় না। তারা মায়েদের কোনো পরামর্শ আর বিশ্বাস করতে চায় না এবং মায়েদের জবাবদিহিতাও সন্দেহ করতে শুরু করে।
মা-মেয়ে সম্পর্কের এই বেদনাদায়ক পরিবর্তনটি মায়ের পক্ষে যতই কষ্টকর হোক না কেন মেয়েদের বেড়ে ওঠার জন্য এটি একটি ইতিবাচক ধাপ। তবে এটি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ যে, এমন এক সময় আসবে যখন মায়েরা তাদের মেয়েদের সব প্রয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবে না। আর ওই সময়টিতে মেয়েদের জীবনে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিকনির্দেশনার খুব প্রয়োজন পড়ে। খালা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
অভিভাবক বিশেষজ্ঞ স্টিভ বিডালফ দাবি করেছেন যে, খালারা মেয়েদের বিকাশে মায়ের মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এবিসি-এর প্যারেন্টাল অ্যাজ এভরিথিং পডকাস্টে বিডালফ এই দাবির পক্ষে ব্যাখ্যা করে বলেছেন- মেয়েদের পাশে তার নিজের বাবা-মা ছাড়াও অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির থাকাটা অপরিহার্য।
কারণ, একটা সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চাপ এবং ক্রমাগত যৌনসংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনার মুখোমুখি হওয়ায় ফলে তাদের জীবনে এমন একজন দরকার পড়ে যার ওপর আস্থা রাখা যায়।
তবে মায়ের আপন বোন না থাকলেও হতাশ হবার কিছু নেই। খালাদেরকে মায়ের আপন বোন হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো ইতিবাচক নারীই এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন, যিনি অনেকটা মায়ের মতন এবং সাধারণত মায়ের বয়সের।
বিডালফের পরামর্শ হলো, বাবা-মায়েদের উচিৎ অল্প বয়স থেকেই মেয়েকে তার খালাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সুযোগ দেয়। যাতে সে ছোট বেলা থেকেই খালার কাছাকাছি আসতে পারে, একসঙ্গে সময় কাটাতে পারে। আট বছরের পর থেকে খালাদের সঙ্গে একা সময় কাটাতে দেয়া উচিৎ। তারা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজনে বাইরে যেতে পারে বা রাতে একসঙ্গে ঘুমোতেও পারে। কিশোরকাল শুরু হবার পূর্বেই তাদের সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে হবে। তথ্যসূত্র: মমস.কম
টাইমস/এনজে/জিএস