সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে মা লায়লা আফরোজ ও মেয়ে নাফিজা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সন্দেহ করছেন আয়েশা তরুণী যে মাত্র চারদিন আগে অস্থায়ী গৃহকর্মী হিসেবে তাদের বাসায় কাজ নিয়েছিলেন। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান পুলিশ।
এর আগেও গৃহকর্মীর মাধ্যমে এমন হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেসব ঘটনায় দেখা যায় গৃহকর্মী রাখার আগে নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করা হয়নি। তাই নির্মম ঘটনা এড়াতে কিছু বিষয় জেনে রাখা খুব দরকার-
গৃহকর্মী রাখার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেয়া হলো যেগুলো আগে থেকেই যাচাই করা উচিত—
১. পরিচয় যাচাই ও নথি সংরক্ষণ: জাতীয় পরিচয়পত্র, গ্রামের ঠিকানা, অভিভাবকের নাম–সব তথ্য সংগ্রহ করুন। প্রয়োজন হলে মোবাইল নম্বর যাচাই করুন। এই তথ্যগুলোর কপি ঘরে সংরক্ষণ করে রাখুন।
২. পূর্বের কাজের রেফারেন্স ও অভিজ্ঞতা: আগে কোথায় কাজ করেছে জানতে চান। পূর্বের নিয়োগকর্তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে তার আচরণ, বিশ্বাসযোগ্যতা ও কাজের দক্ষতা সম্পর্কে জেনে নিন।
৩. স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও শারীরিক সক্ষমতা: সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা আছে কি না তা যাচাই করুন। রান্না, পরিষ্কার বা শিশুর যত্ন—যে কাজই করুক, সেগুলো করার মতো শারীরিক সক্ষমতা আছে কিনা দেখুন। দীর্ঘমেয়াদি কাজে হলে বেসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো ভালো।
৪. চাকরির শর্তাবলি লিখিতভাবে ঠিক করা: বেতন, কাজের সময়, সাপ্তাহিক ছুটি, দায়িত্ব–সব কিছু লিখিতভাবে ঠিক করে নিন। একটি কপি নিজের কাছে এবং একটি তার কাছে রাখুন। লিখিত শর্ত ভবিষ্যতে ভুলবোঝাবুঝি কমায় ও নিরাপত্তা বাড়ায়।
৫. ঘরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সীমাবদ্ধতা পরিষ্কার করা: কোন ঘরে প্রবেশ করা যাবে না, কোন জিনিস স্পর্শ করা যাবে না—এগুলো পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিন। ঘরের সিসিটিভি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাকে আগেই জানান।
আইকে/এসএন