চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগে ৮৫ হাজার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। বেআইনি কর্মকাণ্ড, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ও সন্ত্রাসবাদের সমর্থন এবং সর্বোপরি মার্কিন জনগণে নিরাপত্তার মান বজায় রাখার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র দফতরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘ভিসা বাতিল করার কয়েকটি প্রধান কারণ ছিল ডিইউআই (মদ পান করে গাড়ি চালানো), হামলা ও চুরি; যা গত বছরের প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের জন্য দায়ী। এসব লোক আমাদের সমাজের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি এবং আমরা তাদের দেশে রাখতে চাই না।’
এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিসা যাচাইয়ের পদ্ধতি কঠোর রয়েছে, বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের আবেদনকারীদের জন্য।’ আফগানিস্তান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই প্রশাসন সব সময়ই আফগানিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল (মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর)। ভিসা আবেদনকারীরা যাতে হুমকির কারণ না হয়, তা আমরা যথাযথভাবে যাচাই করছি।’
বাতিল হওয়া ৮৫ হাজার ভিসার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীও রয়েছে। ইহুদিবিদ্বেষী আচরণ ও সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ তুলে তাদের ভিসা বাতিল করা হয়। যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষ্যকার চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘উল্লাস’ করার অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা বাতিল করা হয়।
ব্যাপকভাবে ভিসা বাতিলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ধরপাকড় ও দেশ ছাড়ার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বাইডেন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রে যেসব শরণার্থী প্রবেশ করেছিল, তাদের সবার নথিপত্র যাচাই করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। প্রায় স্থবির হয়ে রয়েছে শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচিও।
আইআর/এসএন