স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, নরসিংদীর সবচেয়ে বড় সমস্যা রায়পুরায় উপজেলা, এখানে সন্ত্রাসীদের আড্ডা অনেক বেশি এবং হাতিয়ার রয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কম্বিং অপারেশন করে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাই সেনাবাহিনী, র্যাব পুলিশসহ সব বাহিনীর সমম্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। বর্তমানে টেঁটা আপডেট হয়ে হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার ও পুলিশ লাইন্স পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল-ফারুক প্রমুখ। এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নরসিংদী পুলিশ লাইনসের ক্যান্টিন, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। পরে তিনি জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চব্বিশের ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হলে সব কয়েদি পালিয়ে যায়, অস্ত্র লুট হয়। পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের মধ্যে অনেকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে, আবার অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলখানায় লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। জেলখানায় আটক কয়েদিদের মধ্যে বেশিরভাগই মাদক মামলার আসামি। এই মাদক নির্মূলে কাজ করতে হবে। আর মাদক মামলার কয়েদিদের জন্য বিশেষ কারাগার গড়ে তোলা হবে।
পিএ/টিকে