ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রথম দফায় ১২৫ প্রার্থীর মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে। বাকি আসনগুলোতে পরের ধাপে মনোনয়ন ঘোষণা করা হবে। এই ধাপে কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সব নেতার মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আলোচিত নেতা ও দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনের নাম এই তালিকায় নেই।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা ঘোষণা করেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে দলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আখতার হোসেন জানান, শাপলা কলি মার্কার পক্ষে দলের সব নেতাকর্মীকে মাঠে নামতে হবে। তিনি দেশবাসীর কাছেও সহযোগিতা কামনা করেন।
সামান্তা শারমিন এনসিপি গঠনের শুরু থেকেই নেতৃত্বের প্রথম সারিতে। দল গঠনের আগে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র ছিলেন। শোনা যাচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি রংপুর-১ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন।
সামান্থা শারমিন ও ডা. তানসিম জারা এনসিপির অনেকটাই ভ্যানগার্ড। দুজনের বিষয়ে নেতাকর্মীদের ব্যাপক আগ্রহ। তাদের বিষয়ে জনমনেও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। এছাড়া এনসিপি ১৪ জন নেত্রীকে এবার মনোনয়ন দিয়েছে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই তালিকায় নাম নেই সামান্থার। দলের প্রায় সব সিনিয়র নেতা ভোটের মাঠে লড়াই করছেন। সেখানে সামান্থার নাম মনোনয়ন তালিকায় না আসা অনেককেই অবাক করেছে।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম-সদস্য সচিব ও দলটির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, সামান্তা শারমিন নির্বাচন করতে আগ্রহী নন। তিনি ভোট করতে আগ্রহী হলে পরবর্তী ধাপে তার নাম ঘোষণা হতে পারে।
মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক তালিকায় থাকা কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ বা প্রতিকূলতা পাওয়া গেলে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজন হলে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হবে।’ তিনি জানান, তিন ধাপে সব আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এদিন বলেন, ‘এবারের মনোনয়ন তালিকায় ব্যতিক্রমী ও যোগ্য প্রার্থী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে গণভোটে অংশ নেবেন।’
মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ভোটারদের ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দল দুর্নীতি, চাঁদাবাজি বা ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িত কাউকে সংসদে পাঠাতে চায় না। কোনো প্রার্থী নির্বাচনি আইন ভঙ্গ করলে তার প্রার্থিতা বাতিল হবে।’
এবি/টিকে