কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসতে পারবে না মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মানুষ স্বৈরাচারের সাড়ে ১৫ বছর একটা ভালো নির্বাচন পাননি। সে জন্য নির্বাচন করতে ও ভোট দিতে সবাই অপেক্ষা করছেন। স্বৈরাচারের যে দল তারই নির্বাচন থেকে তাদের বের করে দিয়েছে। একটা দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে গণতান্ত্রিকভাবে। কিন্তু তারা তো তা করেনি। তারা তাদের কর্মী ও তাদের সরকার রাইফেল, পিস্তল নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের মেরেছে। তারা নেশায় মত্ত হয়ে গিয়েছিল। তারা ভেবেছিল, খুন করলেই ক্ষমতায় থাকা যায়। তারা আরও ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ একটি টেররিস্টের দল। তারাই তাদের টেররিস্ট বানিয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরিফ জিয়ারতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে আছেন। নির্বাচন করা নিয়ে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নেই। যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করবেন, আইন হাতে তুলে নেবেন, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। অনেকে অবৈধ দাবি নিয়ে মাঠে নামতে চাইছেন, তাদের বিরুদ্ধেও এ সরকার কঠোর হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয় থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের সবার দায়িত্ব একটি সুন্দর নির্বাচন করা। দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভোটার হওয়া–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়।
ওনার (তারেক রহমান) দল রয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসে তা ঠিক করবেন। নির্বাচন কমিশনের অনেকগুলো নিয়ম রয়েছে, তারা তা যাচাই-বাছাই করবেন। আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদের আমরা আহ্বান করেছি। অনেকেই আসছে, সাড়া দিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের খুব ভালো বন্ধু। তারা একটি বড় পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে।
এমআর/টিকে