ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে চিকিৎসাধীন হাদিকে দেখতে যান।
বিএনপি মহাসচিবকে চিকিৎসকরা হাদির সর্বশেষ অবস্থা অবহিত করেন।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অধ্যাপক জাহিদের কাছ থেকে অবহিত হন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরে বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।
এভারকেয়ারে নেওয়ার আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক দফা অস্ত্রোপচার হয়।
অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসকের ধারণা, গুলি হাদির মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে গেছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলেও জানান তিনি।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ওসমান হাদির হাত ধরে গড়ে ওঠে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। ‘সব ধরনের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ’ সংগঠনটির ঘোষিত লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ ওসমান হাদি ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বলেন, “এই রায় পুরো পৃথিবীর জন্য নজির স্থাপন করেছে।”
গত জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বলেছিলেন, বিএনপি যদি ‘পুরনো ধারায়’ রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসে, তবে তারা দুই বছরও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। একই অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন হাদি।
এর বাইরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা এবং দৃশ্যত পরিবর্তনের ঘাটতির সমালোচনা করে একটি জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন।
টিকে/