ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মশাল মিছিল

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলির ঘটনায় গাইবান্ধায় মশাল মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গাইবান্ধা শহরের পৌরপাকের ‘৩৬শে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ চত্বর’ থেকে ওই মশাল মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও ‘৩৬শে জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ চত্বরে’ এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্যসচিব বায়েজীদ বোস্তামি জিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, সংগঠক অতনু সাহাসহ ছাত্রশিবির ও গণঅধিকার পরিষদের অনেকেই বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না। এ সময় হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) ডা. মোস্তাক আহমেদ জানান, শরিফ ওসমান বিন হাদির ডান দিক দিয়ে গুলি ঢুকে বাম কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। সেই গুলির দু’একটি অংশবিশেষ তার ব্রেনে রয়ে গেছে।

এদিকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ওসমান হাদি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নোয়াখালীতে টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন Dec 13, 2025
img
ধানের শীষ ছাড়া এই দেশকে বাঁচানোর উপায় নেই : আবুল কালাম Dec 13, 2025
img
দুই যুগ পর এমিনেমের অশালীন প্রস্তাব ফাঁস করলেন টাইটানিকের নায়িকা Dec 13, 2025
img
শান্তিতে নোবেলজয়ী নারীকে গ্রেপ্তার করল ইরান Dec 13, 2025
img
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন ট্রাম্প Dec 13, 2025
img
স্ক্রিপ্ট জেনে তারপরই সিদ্ধান্ত- ‘ট্রাইব্যুনাল’ প্রসঙ্গে মৌসুমী হামিদ Dec 13, 2025
img
জুবিন গার্গের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়, ৩৫০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট Dec 13, 2025
img
নীলফামারী হানাদারমুক্ত দিবস আজ Dec 13, 2025
img
ধর্ম ও জাতপাত নিয়ে পিছিয়ে পড়ছি: সোমলতা Dec 13, 2025
img
গোপালগঞ্জ ডিসি অফিস ও আদালতের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ Dec 13, 2025
img
শুটিং সফরে অরিজিতকে চিনতেই পারলেন না মিমি Dec 13, 2025
img
হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ জিএম কাদেরের Dec 13, 2025
img
সম্পর্ক মানে বিচার নয়, শান্তির আশ্রয়: পরমব্রত চ্যাটার্জি Dec 13, 2025
img
লিভারপুল স্কোয়াডে সালাহ, ‘শেষ ম্যাচ’ খেলার অপেক্ষা Dec 13, 2025
img
নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যানের Dec 13, 2025
img
সকালে ১৬ ডিগ্রিতে নেমেছে ঢাকার তাপমাত্রা Dec 13, 2025
img
দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে : নুর Dec 13, 2025
img
তারেক রহমান ‘নিজে’ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন : আমীর খসরু Dec 13, 2025
img
সাফল্যের বিচার সময়ই করে: শাশ্বত চ্যাটার্জি Dec 13, 2025
img
হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় রাকসুর নিন্দা Dec 13, 2025