১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করেছিল পুলিশ। সেই সময় অভিনেতাকে জেরা করেছিলেন পুলিশ আধিকারিক রাকেশ মারিয়া। এমনকি সঞ্জয় দত্তকে চড় মেরেছিলেন।
এর আগে বান্দ্রার একটি রেস্তোরাঁর মালিক হানিফ কাদাওয়ালার মুখে প্রথম সঞ্জয়ের নাম উঠে আসে। হানিফই জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদীরা সঞ্জয়ের বাড়িতে অস্ত্র রেখেছিলেন। তদন্তের সময়ে মুম্বাইয়ে ছিলেন না সঞ্জয়। তখন তিনি মরিশাসে শুটিং করছিলেন। বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করেছিল মুম্বাই অপরাধ দমন শাখা। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল- অভিনেতাকে যেন একটিও সিগারেট না দেওয়া হয়। কাউকে ফোন করারও অনুমতি দেওয়া হয়নি সঞ্জয় দত্তকে।
পুলিশ আধিকারিক রাকেশ মারিয়া বলেন, রাত আড়াইটা থেকে একটা ঘরে বসেছিলেন সঞ্জয়। আমি সকাল ৮টায় ঢুকি সেই ঘরে। সঞ্জয় দাবি করেছিলেন- তিনি নির্দোষ। কিছুতেই আসল ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছিলেন না অভিনেতা।
পুলিশের এ আধিকারিক বলেন, সেই সময়ে সঞ্জয়ের লম্বা চুল ছিল। রাকেশ স্মৃতি হাতড়ে বলেন, আমি ওর কাছে যাই এবং গালে সপাটে চড় মারি। তারপর ওর চুলের মুঠি ধরে টান দিই। সোজা প্রশ্ন করি- আমাকে কি ভদ্রভাবে কথা বলতে দেবে, না কি অন্য পদ্ধতি নেব? তখন উনি আমার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলতে চান। পুরো ঘটনা আমাকে জানান।
সেদিন জেরার সময়ে পুলিশ আধিকারিক রাকেশকে একটি অনুরোধ করেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। তিনি বলেছিলেন- আমি ভুল করে ফেলেছি। দয়া করে আমার বাবাকে বলবেন না। সেদিন সন্ধ্যায় সঞ্জয়ের বাবা সুনীল দত্ত দেখা করতে এসেছিলেন। সেদিন বাবাকে দেখে শিশুর মতো হাউ হাউ করে কাঁদছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
কেএন/টিকে