ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ প্রকল্পে নাম লেখানোর পর নতুন অধ্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সুপারস্টার মহেশ বাবু। এস এস রাজামৌলির পরিচালনায় তেরোশো কোটি টাকার পৌরাণিক মহাকাব্য ‘বারাণসী’ ইতিমধ্যেই তাঁর ক্যারিয়ারের মাইলফলক হয়ে উঠেছে। এই ছবির কাজ শুরু হওয়ার আগেই এবার নতুন এক সম্ভাব্য জুটিকে ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে দক্ষিণী চলচ্চিত্র মহলে।
শোনা যাচ্ছে, পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সঙ্গে ফের একবার কাজ করার পথে এগোচ্ছেন মহেশ বাবু। এর আগে দু’জনের মধ্যে একটি ছবি নিয়ে আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার নাকি পুরনো সেই গল্পকেই নতুন করে সাজিয়ে তুলছেন সন্দীপ, যা মহেশ বাবুর বর্তমান আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে মানানসই করে নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। এই প্রজেক্ট নিয়ে প্রাথমিক স্তরের কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলেই ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি।
এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মহেশ বাবুর স্ত্রী ও পরামর্শদাতা নম্রতা শিরোদকর। ক্যারিয়ার সংক্রান্ত প্রতিটি সিদ্ধান্তে যাঁর মতামত বরাবরই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে, সেই নম্রতাই নাকি এই সম্ভাব্য ছবির ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার তীব্র ও বাস্তবঘেঁষা গল্প বলার ধরণ এবং মহেশ বাবুর বিপুল তারকাখ্যাতি একসঙ্গে এলে তা সর্বভারতীয় স্তরে বড়সড় আলোড়ন তুলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বলিউড প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে মহেশ বাবু যে বেছে বেছে কাজ করছেন, তা ভক্তদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে রাজামৌলির ‘বারাণসী’ মুক্তি পাওয়ার কথা দুই হাজার সাতাশ সালে। এই ছবিতে মহেশ বাবুর সঙ্গে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। সেই মহাকাব্যিক ছবির পাশাপাশি সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, ভারতীয় সিনেমায় মহেশ বাবুর ক্যারিয়ারে এক সংজ্ঞায়িত অধ্যায় শুরু হতে চলেছে বলেই মনে করছেন চলচ্চিত্র বিশ্লেষকেরা।
এমকে/টিএ