বক্স অফিসে ঝড় তোলার শুরুতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে পরিচালক বয়াপাটি শ্রীনুর নতুন ছবি ‘অখণ্ডা টু’। মুক্তির পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি যে মন্তব্য করেন, তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। বয়াপাটি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এই ছবি শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি ভারতের আত্মার প্রতিচ্ছবি। তাঁর এই আবেগঘন উচ্চারণ ঘিরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দর্শক মহলে।
তেলুগু রাজ্যজুড়ে প্রদর্শনের আগের বিশেষ প্রদর্শনী থেকেই ছবিটি শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। জানা গেছে, শুধুমাত্র প্রদত্ত প্রিমিয়ার শো থেকেই প্রায় দশ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ‘অখণ্ডা টু’। এই সাফল্যের পরই পরিচালক ছবির ভাবনা ও দর্শনের কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, আধ্যাত্মিক বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের আবেগকে একসূত্রে গাঁথাই এই ছবির মূল লক্ষ্য।
নন্দামুরি বালাকৃষ্ণকে ঘিরেই ছবির মূল আকর্ষণ। তাঁর বিপরীতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আদি পিনিশেট্টি। দুই তারকার মুখোমুখি লড়াই, আধ্যাত্মিক ক্রোধ আর প্রবল অ্যাকশনের মেলবন্ধন দর্শকদের টানছে প্রেক্ষাগৃহে। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে নির্মিত অ্যাকশন দৃশ্যগুলো বড় পর্দায় দেখার জন্যই তৈরি বলে মন্তব্য করেছেন বয়াপাটি শ্রীনু।
পরিচালক দর্শকদের পরিবার নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখার আহ্বান জানান। তাঁর বক্তব্য, ‘অখণ্ডা টু’ শুধুই উত্তেজনাপূর্ণ বিনোদন নয়, এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বাস, ধর্মীয় ভাবনা ও নৈতিক শক্তির বার্তা। এই কারণেই ছবিটিকে সব বয়সের দর্শকের জন্য উপযোগী বলে মনে করছেন তিনি।
ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সংযুক্তা এবং শিশু শিল্পী হর্ষালি মালহোত্রা। তাঁদের উপস্থিতি গল্পে আবেগের গভীরতা যোগ করেছে। আগের পর্বের উত্তরাধিকার বহন করে আরও বৃহৎ পরিসরে নির্মিত এই সিক্যুয়েল আধ্যাত্মিক অ্যাকশন ধারাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলে মত চলচ্চিত্র বিশ্লেষকদের।
বয়াপাটি শ্রীনুর সঙ্গে ছবিটির আবেগী যোগসূত্র এবং ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতীকের ব্যবহার ইতিমধ্যেই অনুরাগীদের মধ্যে প্রবল সাড়া ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল, যা ‘অখণ্ডা টু’-কে কেবল একটি সফল ছবি নয়, বরং এক সাংস্কৃতিক আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত করেছে।
এমকে/টিএ