সংক্রান্তি দুই হাজার ছাব্বিশ শুধু উৎসবের মৌসুম নয়, দক্ষিণী চলচ্চিত্রের একাধিক শীর্ষ নায়িকার কাছে এটি হয়ে উঠছে ভাগ্য নির্ধারণের লড়াই। সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়া অনেক নায়িকাই এই সময় মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায়। বক্স অফিসে সাফল্য যেমন তাঁদের হারানো অবস্থান ফিরিয়ে দিতে পারে, তেমনই ব্যর্থতা আরও ঝাপসা করে দিতে পারে তারকাখ্যাতি।
নয়নতারা দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার বাইরে ছিলেন। ‘জওয়ান’-এর পর তাঁকে ঘিরে বড় কোনো সাফল্যের গল্প তৈরি হয়নি। সেই জায়গা থেকেই চিরঞ্জীবীর বিপরীতে ‘মানা শঙ্কর বারা প্রসাদ গারু’ ছবিতে তিনি যেন সবটুকু বাজি ধরেছেন। এতদিন প্রচারের আড়ালে থাকা নয়নতারা এই ছবির জন্য নিজের চেনা নীরবতা ভেঙে প্রকাশ্যে আসছেন, যা তাঁর ক্যারিয়ারে নতুন বার্তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
মহামারির পর থেকে ধারাবাহিক ধাক্কা খাওয়া পূজা হেগড়েও সংক্রান্তিকে দেখছেন প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে। বিজয়ের সঙ্গে ‘জননায়াগন’ ছবিতে তাঁর উপস্থিতি আবারও তাঁকে প্রথম সারির নায়িকার জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
শ্রীলীলা সাম্প্রতিক একাধিক ব্যর্থ ছবির কারণে সবচেয়ে চাপে থাকা নামগুলোর একটি। ‘স্কন্দ’ ও ‘রবিনহুড’-এর পর তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরাতে পারে শিবকার্তিকেয়নের সঙ্গে ‘পরাশক্তি’। এই ছবির সাফল্যের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে তাঁর ভবিষ্যৎ।
মীনাক্ষী চৌধুরী এই সংক্রান্তিতে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইছেন একক নায়িকা হিসেবে। নবীন পলিশেট্টির বিপরীতে ‘অনাগনাগা ওকা রাজু’ ছবিতে তাঁর পারফরম্যান্সই ঠিক করবে, তিনি শুধু সহনায়িকা নাকি প্রধান চরিত্রের ভার বহনে সক্ষম।
মালবিকা মোহনন ও নিধি আগরওয়াল দুজনেরই এখন একটি জোরালো সাফল্য প্রয়োজন। সেই আশা তাঁরা রেখেছেন প্রভাসের ‘দ্য রাজা সাব’-এ। ছবিটি সফল হলে দুজনের ক্যারিয়ারেই নতুন গতি আসতে পারে।
দীর্ঘ বিরতির পর ডিম্পল হায়াথি ফিরছেন রবি তেজার সঙ্গে ‘ভারতা মহাশয়ুলাকু বিজ্ঞানপ্তি’ দিয়ে। ‘রামবানাম’-এর পর এই ছবিই তাঁর জন্য আবার আলোচনায় ফেরার সুযোগ।
সব মিলিয়ে সংক্রান্তি দুই হাজার ছাব্বিশ দক্ষিণী নায়িকাদের জন্য কেবল মুক্তির মৌসুম নয়, বরং এক কঠিন পরীক্ষার সময়। এই কয়েকটি ছবি হয়তো নতুন করে গড়ে দেবে কারও তারকাখ্যাতি, আবার কারও জন্য খুলে দিতে পারে অনিশ্চয়তার নতুন অধ্যায়।
এমকে/টিএ