বক্স অফিসে ঝড় তোলা সাফল্যের মাঝেই বড় ধাক্কার মুখে পড়ল আদিত্য ধর পরিচালিত ছবি ‘ধুরন্ধর’। ভারত ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাজারে দর্শক টানলেও উপসাগরীয় দেশগুলোতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ছবিটি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমান ও বাহরাইন এই সব দেশেই প্রদর্শনের ছাড়পত্র পায়নি ‘ধুরন্ধর’।
উপসাগরীয় সেন্সর বোর্ডগুলোর আপত্তির মূল কারণ ছবিটির কড়া পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য ও রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ কাহিনি। আঞ্চলিক সংবেদনশীলতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ছবিটি অনুমোদন পায়নি বলে জানা গেছে। ফলে বড় অঙ্কের আন্তর্জাতিক আয়ের সম্ভাবনা এক ধাক্কায় কমে গেল, বিশেষ করে যেখানে বিপুল দক্ষিণ এশীয় প্রবাসী দর্শক রয়েছেন।
রণবীর সিংয়ের নেতৃত্বে শক্তিশালী অভিনয়শিল্পীর সমাহার ছিল এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ। অক্ষয় খান্না, সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন রামপাল ও আর মাধবনের মতো অভিনেতাদের উপস্থিতি ‘ধুরন্ধর’-কে শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রাখে। দেশীয় বক্স অফিসের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি বাজারেও ছবিটি রেকর্ড গড়েছে।
তবে উপসাগরীয় নিষেধাজ্ঞার ফলে ‘ধুরন্ধর’ এমন কিছু ভারতীয় ছবির তালিকায় ঢুকে পড়ল, যেগুলো রাজনৈতিক বা জাতীয়তাবাদী বক্তব্যের কারণে ওই অঞ্চলে প্রদর্শনের অনুমতি পায়নি। এর আগে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, ‘ফাইটার’ ও ‘টাইগার থ্রি’-এর মতো ছবিও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল।
সব প্রতিকূলতার মধ্যেও যেখানে ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেখানে ‘ধুরন্ধর’-এর দাপট অব্যাহত। অনেকের মতে, বিতর্কই বরং ছবিটির কৌতূহল ও আলোচনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। উপসাগরীয় বাজার বন্ধ হলেও বিশ্বব্যাপী আলোচনায় ‘ধুরন্ধর’ এখনো অন্যতম প্রভাবশালী নাম হয়ে রয়েছে।
এমকে/টিএ