আসন্ন যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’ নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী চিত্রাঙ্গদা সিং। অপূর্ব লাখিয়া পরিচালিত এই ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করছেন তিনি। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে চিত্রাঙ্গদা জানালেন, সালমানের অভিনয়ের ধরন তাঁকে নতুনভাবে ভাবতে শিখিয়েছে।
চিত্রাঙ্গদার কথায়, সালমানের সঙ্গে কাজের সবচেয়ে বড় দিক হলো সেটে তাৎক্ষণিক অভিনয়ের স্বাধীনতা। তিনি বলেন, সালমান দৃশ্যের মধ্যে নিজে থেকেই অনেক কিছু তৈরি করেন। শট চলাকালীন নতুন মুহূর্তের জন্ম হয়, যা আগে চিত্রনাট্যে লেখা থাকে না। এত বড় তারকার সঙ্গে কাজ করলেও সেটে সেই চাপ অনুভূত হয়নি বলেই জানান তিনি। বরং নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই ছিল তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।
এই ছবিতে চিত্রাঙ্গদার চরিত্রটি মূলত আবেগের ভার বহনকারী। অ্যাকশন ও যুদ্ধের উত্তেজনার মাঝেও মানবিক অনুভূতির যে স্তর থাকে, সেটাই তাঁর চরিত্রের মাধ্যমে উঠে আসবে। নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চরিত্রের সময় পর্দায় কম হলেও, যদি সেটি গভীরভাবে ফুটে ওঠে, তবে তা দর্শকের মনে থেকে যায়। তাঁর বিশ্বাস, ভালো অভিনয় কখনো দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে না।
ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গেও এই ছবির বিশেষ যোগ রয়েছে চিত্রাঙ্গদার। সেনাবাহিনীর পটভূমি থেকে আসার কারণে এই প্রকল্পকে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। যুদ্ধের বাস্তবতা, সৈনিকদের মানসিক চাপ এবং পরিবারের আবেগ সবকিছুই তাঁর কাছে খুব কাছের বিষয়।
এর আগে সালমান খান নিজেও ছবিটির শারীরিক চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ছবিতে তাঁকে দৌড়াতে হয়েছে, লড়াই করতে হয়েছে, শারীরিকভাবে নিজেকে নিংড়ে দিতে হয়েছে। তাঁর মতে, এই ছবি শুধু অভিনয় নয়, বরং সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতির দাবি রাখে।
সব মিলিয়ে দেশপ্রেম, যুদ্ধের উত্তেজনা আর ব্যক্তিগত আবেগের মেলবন্ধনেই এগোচ্ছে ‘ব্যাটল অব গালওয়ান’। সালমান খানের তাৎক্ষণিক অভিনয় আর চিত্রাঙ্গদা সিংয়ের সংবেদনশীল উপস্থিতি ছবিটিকে আলাদা মাত্রা দেবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমকে/টিএ