বাংলাদেশ আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সাংগঠনিক সচিব ও আলোচিত বক্তা আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরি বলেছেন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। কোনো দলের ট্যাগ লাগিয়ে ঘটনাকে আড়াল করা যাবে না। একটি ঘটনা ঘটার পর রাজনৈতিক ট্যাগ জুড়ে দিলে প্রকৃত আসামিরা আড়াল হয়ে যায়।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেজুরা উত্তর-পশ্চিমপাড়া হজরত বেলাল (রা.) জামে মসজিদের বার্ষিক মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরি বলেন, দেশে রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে, তাই বলে গুলি করতে হবে?
এ ধরনের সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ মুফতি বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে কেউ খুনের পথ বেছে নেবেন না। এ দেশে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে মব তৈরি করে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলেও আসামিরা আজও ধরা পড়েনি। আবার অন্য ঘটনায় অপরাধীরা পালিয়ে যাওয়ার পর আসামি ধরতে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এতে হিসাব মিলাতে পারি না এবং ন্যায়বিচারের প্রশ্ন ওঠে।
গিয়াস উদ্দিন তাহেরি বলেন, নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা, ইমাম রইস উদ্দিন হত্যা এবং শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা কোমর সোজা করে এবার বাংলাদেশে দাঁড়ান। দায়িত্বশীলরা দায়িত্বহীন আচরণ করলে রাষ্ট্রব্যবস্থা সুন্দরভাবে চলতে পারে না। আমার বক্তব্যে রাজনৈতিক গন্ধ খুঁজে নেবেন না।
আমি সাদাকে সাদা, কালোকে কালা বলি।
এ মুফতি আরো বলেন, যে সমাজে হারাম বেশি চলে, সেখানে গজব দ্রুত আসে এবং যে ঘরে হারাম চলে, সেখানে শান্তি আসে না। দিন দিন খুন, গুম ও অপরাধ বেড়ে যাওয়া কেয়ামতের আলামত।
এ সময় যুবকদের উদ্দেশে মাদকসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিহার করে সঠিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ডা. নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান এবং কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. ড. মোবারক হোসেন প্রমুখ।
পিএ/টিএ