বিগত কয়েক বছর ধরে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কন্যা অন্বেষা। পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই বর্তমানে কর্মরত তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামের সঙ্গে শুধু ‘অন্বেষা’ ব্যবহার করেন। না আছে মায়ের পদবি, না বাবার। কেন এমন সিদ্ধান্ত?
মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছিল প্রমিত সেনের সঙ্গে। ২০ বছর বয়সেই মা হন তিনি। কিন্তু সেই সংসার সুখের হয়নি। গর্ভাবস্থাতেই স্বামীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বস্তিকা। এরপর একাই মেয়েকে বড় করেন তিনি। অভিনয়জগতে নিজের জায়গা তৈরি করার পাশাপাশি একা হাতে মানুষ করেছেন অন্বেষাকে।
বর্তমানে অন্বেষার জীবন পুরোপুরি আলাদা পথে এগিয়েছে। মায়ের মতো অভিনয়ে আসার কোনও আগ্রহ তাঁর নেই। পড়াশোনাতেই মন দিয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ের একটি নামী কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর স্কলারশিপ পেয়ে যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন। ২০২৪ সালে মাস্টার্স সম্পূর্ণ করার পর পিএইচডিও শেষ করেছেন অন্বেষা।
তবে অভিনেত্রী কন্যা হওয়া সত্ত্বেও জীবন তাঁর জন্য সহজ ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, সিঙ্গল মাদারের সন্তান হওয়ায় একসময় কলকাতার একটি নামী স্কুল অন্বেষাকে ভর্তি নিতে চায়নি। সেই লড়াইও একসঙ্গেই লড়েছেন মা-মেয়ে।
খাতায়-কলমে অন্বেষার পদবি ‘সেন’ হলেও, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই কোনও পদবি ব্যবহার করেন না। এই বিষয়ে কখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি স্বস্তিকা বা অন্বেষা কেউই। তবে মাকে নিয়ে অন্বেষার গর্ব ও ভালোবাসা বারবার ধরা পড়ে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্টে।
উল্লেখ্য, প্রমিত সেনের সঙ্গে স্বস্তিকার আইনি বিচ্ছেদ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। নানা আইনি জটিলতায় ডিভোর্স প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। তবে সেই সব কিছুকে পিছনে ফেলে নিজেদের মতো করে এগিয়ে চলেছেন মা ও মেয়ে-নিজস্ব পরিচয় আর আত্মসম্মানের পথেই।
পিএ/টিএ