সিঙ্গাপুরে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত সন্দেহে ৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরো (সিএনবি)।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে সিএনবি আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিবাসী শ্রমিকদের বেশ কয়েকটি ডরমিটরিতে গত চার দিন ধরে অভিযান চালায় সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরো। এই অভিযানের পরই মাদক-সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত সন্দেহে মোট সাতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। আটকদের সবার বয়স ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
অবৈধ কার্যকলাপ দমনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বিশেষ অভিযানে সেন্ট্রাল নারকোটিক্স ব্যুরোর সাথে অংশ নেয় সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স (এসপিএফ), সিঙ্গাপুর কাস্টমস, হেলথ সায়েন্সেস অথরিটি (এইচএসএ), মিনিস্ট্রি অব ম্যানপাওয়ার এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড চেকপয়েন্টস অথরিটি (আইসিএ)।
জানা যায়, গত সোমবার প্রথমে জুরং ওয়েস্টে অবস্থিত একটি ডরমিটরি থেকে মাদক সেবনের সন্দেহে ২৫ বছর বয়সি একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সেলেতার এলাকার অন্য একটি ডরমিটরি থেকে আরও দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে স্বল্প পরিমাণে ‘আইস’ এবং বিভিন্ন মাদক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
সবশেষে বৃহস্পতিবার চোয়া চু কাং এলাকার একটি ডরমিটরিতে অভিযানের পর আরও চারজনকে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যেও একজনের কাছ থেকে স্বল্প পরিমাণে ‘আইস’ এবং বিভিন্ন মাদক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত নভেম্বর মাসে উডল্যান্ডসের একটি অভিবাসী শ্রমিকের ডরমিটরিদতে রাতভর চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে একজন বাংলাদেশি ও একজন মিয়ানমারের নাগরিকসহ ১২ জনকে মাদক-সংক্রান্ত অপরাধের সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সুপারিনটেনডেন্ট লিম উই বেং জানিয়েছেন, মাদক কার্যকলাপ যেখানেই ঘটুক না কেন কর্মক্ষেত্র বা আবাসিক প্রাঙ্গণে সিএনবি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, সিঙ্গাপুরে মাদকের কোনো স্থান নেই এবং যারা মাদক কার্যকলাপে জড়িত থাকবে তাদের আইনি শাস্তির সম্পূর্ণ সম্মুখীন হতে হবে। আমরা আমাদের অভিবাসী শ্রমিকসহ সকলের নিরাপত্তা ও কল্যাণ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মাদক-সংক্রান্ত হুমকি শনাক্ত করতে বাধা দিতে ও প্রতিরোধ করতে আমাদের আইন প্রয়োগকারী অংশীদারদের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব।
কেএন/টিকে