বলিউড তারকা মাহিমা চৌধুরীর জীবন কেবল রূপালি পর্দার গল্পে সীমাবদ্ধ নয় বাস্তব জীবনেও বারবার কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘পরদেশ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হলেও, সাফল্যের আড়ালে লুকিয়ে ছিল একের পর এক ভয়াবহ লড়াই।
শুটিং চলাকালীন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা, চুক্তি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা, স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই এবং ব্যক্তিগত জীবনের উত্থান-পতন—সবকিছুর মাঝেই হার না মেনে এগিয়ে গিয়েছেন মাহিমা।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে নিজের জীবনের সেই অন্ধকার সময়ের কথা অকপটে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী।
১৯৯৯ সালে অজয় দেবগন ও কাজলের সঙ্গে ‘দিল কেয়া কারে’ ছবির শুটিং চলাকালীন ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেই ঘটনায় মাহিমার মুখে ঢুকে যায় একসঙ্গে ৬৭টি কাঁচের টুকরো।
সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে কথোপকথনে মাহিমা জানান, “অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রথম ছবির পরই আমাকে আইনি মামলায় জড়ানো হয়েছিল।
এরপর শুটিং সেটের সেই দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক বছর বাড়িতে বসে থাকতে হয়।”
শুটিং সেটের সেই বিভীষিকাময় মুহূর্ত স্মরণ করে তিনি বলেন,
“আমার মুখে ৬৭টি ছোট ছোট কাঁচের টুকরো ছিল। মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে সেগুলো একে একে বের করা হয়। পরের দিন আমার মুখ এতটাই ফুলে গিয়েছিল যে নিজের মুখই চিনতে পারছিলাম না।
বন্ধুরা অস্ত্রোপচারের চিহ্ন দেখে হেসেছিল, ভেবেছিল কারও সঙ্গে মারামারি হয়েছে। আমি তখন বুঝতেই পারছিলাম না, জীবনে সামনে কী অপেক্ষা করছে। সময়টা ছিল ভীষণ কঠিন।”
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আবারও পর্দায় ফিরেছেন মাহিমা চৌধুরি। বর্তমানে তিনি আলোচনায় তার আসন্ন রোমান্টিক কমেডি ছবি ‘দুর্লভ প্রসাদ কি দুসরি শাদি’ নিয়ে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ছবিটি। এতে তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রকে।
এর আগে খুশি কাপুর ও ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে ‘নাদানিয়া’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন মাহিমা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা
এমকে/টিকে