দীর্ঘ সময়ের বক্স অফিস মন্দা কাটিয়ে অবশেষে নিজের ভাগ্যচক্র ঘুরিয়ে দিলেন রণবীর সিং। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ধুরন্ধর’ পাঁচশ কোটির ক্লাব ছুঁতেই যেন নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলেন অভিনেতা। সমালোচনা, সন্দেহ আর নিন্দুকদের কটাক্ষের মাঝেই এই সাফল্যকে নিজের কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বলেই দেখছেন রণবীর।
গত এক বছর ধরে একের পর এক ছবির ব্যর্থতায় রণবীরের বক্স অফিস দাপট নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তারকাখচিত ছবি থেকেও ব্লকবাস্টার আসেনি। সেই প্রেক্ষাপটে আদিত্য ধর পরিচালিত ‘ধুরন্ধর’ হয়ে উঠল তাঁর হাতে থাকা তুরুপের তাস। আইনি জটিলতা ও নানা বিতর্ক সত্ত্বেও ৫ ডিসেম্বর মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে কার্যত ঝড় তুলেছে ছবিটি।
মুক্তির মাত্র দশ দিনের মধ্যেই জাতীয় স্তরে চারশ কোটির ঘর ছুঁয়ে ফেলে ‘ধুরন্ধর’। আন্তর্জাতিক বাজারে ছবির আয় পৌঁছেছে পাঁচশ ত্রিশ কোটিরও বেশি। আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা’, শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’, হৃতিক রোশনের ‘ওয়ার’-এর মতো বড় ছবির আয়ের রেকর্ড পিছনে ফেলে দিয়েছে রণবীর সিংয়ের এই অ্যাকশন থ্রিলার। দক্ষিণী ছবির দাপটের বাজারে বলিউডের জন্য এই সাফল্য নতুন মাইলস্টোন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সাফল্যের পর নিন্দুকদের উদ্দেশে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন রণবীর। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, ভাগ্যের এক অদ্ভুত নিয়ম আছে, সময় এলেই সব বদলে যায়। তবে সেই বদলের আগে ধৈর্য আর অপেক্ষাই সবচেয়ে বড় সঙ্গী। তাঁর এই কথায় স্পষ্ট, দীর্ঘদিনের সমালোচনার জবাব তিনি দিয়েছেন কাজের ফলাফল দিয়েই।
উল্লেখযোগ্যভাবে, কোভিড পরবর্তী সময়ে রণবীর সিংয়ের কেরিয়ার গ্রাফ বেশ কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। ‘আটি থ্রি’, ‘সার্কাস’, ‘জয়েশভাই জোয়ারদার’ দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারেনি। ‘রকি অউর রানি’ মোটামুটি সফল হলেও সাম্প্রতিক ব্লকবাস্টারগুলোর ধারে কাছেও পৌঁছয়নি। এমনকি ‘সিংহম এগেইন’-এ বড় তারকাবহুল কাস্টে থাকলেও মূল আলো কেড়ে নিয়েছিলেন অন্যরা।
এই সব প্রশ্নচিহ্নের মাঝেই ‘ধুরন্ধর’ প্রমাণ করে দিল, রণবীর সিং এখনও বক্স অফিসের দৌড়ে পিছিয়ে পড়েননি। পাঁচশ কোটির সাফল্য শুধু একটি ছবির জয় নয়, বরং অভিনেতার কেরিয়ারের পুনর্জন্ম বলেই দেখছেন অনেকে।
এমকে/এসএন